মাগুরার কলেজ কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পিএম
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দারিয়াপুরে কলেজ পরিচালনা পরিষদের কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারাত্মকভাবে আহত যুবদল কর্মী রাজন মাহমুদ কায়েমকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষের পর সারা উপজেলাতে বিএনপির বিবদমান দুটিপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল থেকে সেনাসদস্যরা ৩ বিএনপি কর্মীকে আটক করলেও যেকোনো মুহূর্তে উভয়পক্ষ নতুন করে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছে।
এলাকাবাসী জানান, শ্রীপুরে দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি বদরুল আলম হিরো এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার দারিয়াপুর ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে বদরুল আলম হিরো সমর্থিত গ্রুপের অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলামকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
কিন্তু বিএনপির প্রভাবশালী নেতা আব্বাস উদ্দিন সমর্থিতরা তাদের প্রার্থী হিসেবে অ্যাডভোকেট মাজেদুল ইসলাম এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জিল্লুর রহমানের নাম প্রস্তাব করলেও বঞ্চিত হয়। যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতি বঞ্চিত প্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান বিশ্বাসের নেতৃত্বে মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ অধ্যক্ষ রমেন্দ্র নাথ বাছাড়ের পদত্যাগ দাবি করে দারিয়াপুর বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, বেলা ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি কলেজের সামনে পৌঁছলে দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলাম প্রদীপের নেতৃত্বে লাঠি হকিস্টিক নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রাজন মাহমুদ কায়েমকে ফরিদপুর মেডিকেলে এবং ফরহাদ, হাবিব এবং শুকুরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বিবাদমান পক্ষের নেতা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মতামত পাওয়া যায়নি।
তবে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম হিরো বলেন, কলেজ কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিরোধের জেরে মিছিল কিংবা প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেছে জানতে পেরেছি। তবে সেখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
শ্রীপুর থানার ওসি ইদ্রিস আলি বলেন, এ বিষয়ে কোনো পক্ষের কাছ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এছাড়া নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।