Logo
Logo
×

সারাদেশ

পত্নীতলায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

Icon

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম

পত্নীতলায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর পত্নীতলায় বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর ৮ শতক জমি দখল করে দেয়াল নির্মাণ এবং ওই জমি থেকে ২০-২৫টি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার নজিপুর পৌরসভার সরদারপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেজাউল মামুদ (স্বপন) এ অভিযোগ করেন।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নজিপুর পৌরসভার সরদারপাড়া এলাকায় বাইপাস সড়কসংলগ্ন (সড়কের উত্তর পাশে) ২৮৫ দাগের ১০ শতক জমি পৈতৃক সূত্রে ৬০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন। 

ওই জমিতে আমসহ বিভিন্ন ধরনের ফলজ গাছ লাগানো ছিল। এত দিন সব ঠিকই ছিল; কিন্তু গত ৫ নভেম্বর আব্দুল হামিদ লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে গিয়ে ওই জমিতে থাকা আমাগাছসহ বাগানে থাকা ২০-২৫টি গাছ কেটে ফেলেন। 

পরদিন থেকে ওই ১০ শতক জমির মধ্যে ৮ শতক জমি দখল করে ইট দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করতে শুরু করে। প্রতিবাদ করলে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন আব্দুল হামিদ।

তিনি বলেন, পত্নীতলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ ২৮৪ দাগের ৬ শতক জমির দাবিদার; কিন্তু তিনি জোর করে ওই জমির পাশে ২৮৫ দাগের ৮ শতক জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করছেন। যে ৬ শতক জমির দাবি করা হচ্ছে, সেই জমিও আব্দুল হামিদের নয়। 

আব্দুল হামিদের দাবি, ২০১২ সালে তিনি তৈফুর সরদার নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬ শতক জমি কিনেছেন; কিন্তু জমির দাতা তৈফুর সরদারের বাবা মৃত কলিমুদ্দীন সরদার ১৯৮৭ ও ১৯৮৮ সালে ওই ৬ শতক জমিসহ মোট ৪৬ শতক জমি পৃথক চারটি দলিলে আইয়ুব আলী, আছির উদ্দিন ও নাজির হোসেন নামের তিন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দখলশূন্য হয়েছেন। 

তিনি বলেন, ৩৫-৩৬ বছর ধরে ক্রয়সূত্রে আইয়ুব আলী, আছির উদ্দিন ও নাজির হোসেন জমিগুলো ভোগদখল করে আসছেন। গত ৫ আগস্ট দেশের পটপরিবর্তনের সুযোগে আব্দুল হামিদ ভুয়া দলিল হাজির করে জমি দখল করা শুরু করেছেন। 

আব্দুল হামিদ জানান, জমি দখলের ঘটনায় রেজাউল মামুদ পত্নীতলা সহকারী জজ আদালত ও পত্নীতলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন। আদালত বিবদমান ওই জমির ওপর চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ জারি করেন; কিন্তু আব্দুল হামিদ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল মামুদের প্রতিবেশী ইউনুছ আলী, নুরুল হক সরদার ও লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে আব্দুল হামিদ বলেন, যে জমিতে প্রাচীর তোলা হচ্ছে সেটি আমার নিজের জায়গা। আমি ২৮৪ দাগেই ভোগদখল করে আসছি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম