Logo
Logo
×

সারাদেশ

একের পর এক তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা

পলক-শিমুলসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে জামায়াতের ২ মামলা

Icon

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম

পলক-শিমুলসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে জামায়াতের ২ মামলা

নাটোরের নলডাঙ্গা ও সিংড়া থানায় আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে জামায়াতের নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে একের পর এক হাতুড়িপেটার আলোচিত ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে দুটি মামলা করা হয়েছে।

সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী কারাবন্দি জুনায়েদ আহমেদ পলক ও আত্মগোপনে থাকা সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নির্যাতিত দুই নেতা বাদী হয়ে এই দুটি মামলার আবেদন করেছেন।

নলডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফজলুর রহমান বাদী হয়ে সাবেক এমপি শিমুলসহ ১৫ জনের নামে এবং সিংড়া উপজেলার ছাতারদীঘি ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকসহ ২৯ জনের নামে মামলার আবেদন করেছেন।

ডা. ফজলুর রহমান তার মামলায় বলেছেন, গত বছরের ২৬ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি ফেরার পথে নলডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে আসামিরা পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে এখনো তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি।

অপরদিকে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে করা মামলায় বলা হয়, বাদী একজন ইসলামী আলোচক। তিনি একটি জলসায় আলোচক হিসেবে ১৫ আগস্টে নিহতদের নাম ধরে ধরে দোয়া না করায় জলসায় উপস্থিত প্রধান অতিথি তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক তার প্রতি ক্ষিপ্ত হন। পরবর্তীতে পলকের নির্দেশে আসামিরা গত বছরের ১০ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে বাদী উপজেলার কালীগঞ্জ বাজার মসজিদে জুমার নামাজ পড়িয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে তাকে উপজেলার রহিম উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের পাশ থেকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। মাইক্রোবাসের মধ্যেই হেলমেট বাহিনীর সদস্যরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে গুরুতর জখম করে। পরে অচেতন অবস্থায় মৃত ভেবে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রামের একটি পুকুরপাড়ে ফেলে রেখে যায়। দীর্ঘদিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও আজ পর্যন্ত তিনি পুরোপুরি সুস্থ হননি।

উভয় বাদী কোনো কারণ ছাড়া তাদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে করা নির্মম নির্যাতনের তদন্ত করে উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন। উভয় মামলা দায়েরের সময় উপজেলা জামায়াতের নেতারা ছাড়াও জেলা জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম রাসেল উপস্থিত ছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম