টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলিগ জামাতের শুরায়ী নেজামের (জুবায়েরপন্থি) জোড় ইজতেমা মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে। আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার প্রাক প্রস্তুতিমূলক ৫ দিনের এ জমায়েত গত ২৯ নভেম্বর শুরু হয়। এ জোড় ইজতেমায় দেশ-বিদেশের বিপুল সংখ্যক তাবলিগ অনুসারী অংশ নেন। 

এদিকে তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশের সদর দপ্তর কাকরাইল মারকাজ মসজিদের ন্যায় টঙ্গী ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়েও বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। জুবায়েরপন্থিরা তাদের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হওয়ার পর আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির আগে  ময়দান ছাড়তে নারাজ। 

অপরদিকে মাওলানা সা’দ কান্দলভীর অনুসারীরাও তাদের আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার প্রাক প্রস্তুতি স্বরূপ আগামী ২০ ডিসেম্বর টঙ্গীর ময়দানে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ২৪ ডিসেম্বর তাদের ৫ দিনের জোড় ইজতেমা সমাপ্ত হওয়ার কথা। কিন্তু জুবায়েরপন্থিরা আগামী বছর ৪ ফেব্রুয়ারির আগে ময়দান ছাড়তে নারাজ। 

জুবায়েরপন্থি তাবলিগ জামাতের শূরা সদস্য মাহফুজুর রহমান সোমবার ইজতেমা ময়দানের বিদেশী নিবাসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী আমরা ইজতেমা করব। এর পর আগামী বছর ৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা ময়দান আমরা প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দিব। বিশ্ব ইজতেমা সংক্রান্ত্র গত ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের বাইরে যাব না। আগামী বছর ৪ ফেব্রুয়ারির আগে আমরা ইজতেমা ময়দান ছাড়ছি না। এছাড়া আগের মতই ইজতেমা ময়দান সারা বছর আমাদের জিম্মাদারিতেই থাকবে। 

এদিকে সা’দপন্থি মাওলানা আবদুল হাই বলেন, গত ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাটি ছিল বিশ্ব ইজতেমা সংক্রান্তে। ওই সভার আলোচ্যসূচিতে জোড় ইজতেমা ছিল না। জুবায়েরপন্থিদের জোড় ইজতেমার পর আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী আমাদের সকল সাথীকে আগামী ২০ ডিসেম্বর ইজতেমা ময়দানে আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কাকরাইল মসজিদে আমরা যেভাবে গিয়েছি ইজতেমা ময়দানেও আমরা সেভাবে শানন্তিপূর্ণভাবে যাব।