‘আমার স্বামীকে যারা মেরেছে, তাদের যেন বিচার হয়’
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
ফাইল ছবি
‘আমার স্বামীকে ঘর থেকে কারা ডেকে নিয়ে গেছে। কী দোষ ছিল তার। যারা ডেকে নিয়ে গেছে, যারা মেরেছে, তাদের যেন বিচার হয়।’
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নিহত প্রবাসী মামুন চৌধুরীর স্ত্রী রানু আকতার এভাবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চান।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেহের বাপের বাড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নিহত মামুনের বাড়িতে কান্নার রোল। বাড়ির উঠানে স্বজনরা লাশের অপেক্ষায়।
নিহত মামুনের মামা আবদুর করিম চৌধুরী বলেন, মামুনকে কোনো কারণ ছাড়াই নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দেশীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান জরুরি।
নিহত মামুনের ভাতিজা দেলোয়ার হোসেন বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকদের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রামে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকের পর আমার চাচা মামুন সমাধানের জন্য এগিয়ে যান। একটি পক্ষ রাতের আঁধারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে খুন করে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের ইত্যাদি চত্বর এলাকায় সালিশ বৈঠকের পর অতর্কিত হামলায় মামুনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার (৩০ নভেম্বর) সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর জেরে সরফভাটায় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এ ঘটনার সমাধান করতে রোববার রাতে দুপক্ষের মধ্যে সালিশ বৈঠক বসে। একপর্যায়ে দুপক্ষের লোকজন বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। পরে দুই গ্রুপের মাঝে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় একপক্ষের হামলায় মামুন চৌধুরী নিহত হন।
জানতে চাইলে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম বলেন, নিহত মামুন চৌধুরীর লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় আসলে অবশ্যই হত্যা মামলা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, প্রবাসী মামুন চৌধুরী এক মাস আগে দেশে ফিরেছেন। তিনি সৌদি আরবের রিয়াদ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।