কেশবপুরে আ.লীগের কার্যালয় ভেঙে ফেলা হচ্ছে
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পিএম
যশোরের কেশবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। জমির মালিক দাবিদাররা ওই কার্যালয়টি ভেঙে ফেলছে। অন্যদিকে দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এই জমি তাদের, তারা ক্ষমতায় নেই বলে কিছু বলার নেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি কেশবপুর-পাঁজিয়া সড়কে উপজেলা সহকারী ভূমি কার্যালয়ের সামনে চার শতক জমির দোতলা ভবন করা হয়। এ জমির পাশে তৎকালীন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা আক্তার নাহিদ ও কেশবপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর রেজাউল হোসেন দখলে রয়েছেন। জমির মালিকেরা বলেছেন তাদের ৩০ শতক জমি জোর করে দখল করে সেখানে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে ভবনটির দ্বিতীয়তলার ছাদ ভাঙা শুরু হয়। পরে সামনের জানালার অংশ ভাঙা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, ভবনের ছাদের তিন ভাগের দুই অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। জানালাগুলো ভেঙে সমান করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৫ আগস্টের পরেই ওই ভবনটি পুরো কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দখল করা হয়।
সেখানে দেওয়ানি ৮১/১ মোকদ্দমা সহকারী জজ আদালতে ২১/০৮/২০১৬ তারিখের রায় ও ২৮/০৮/২০১৬ তারিখের মামলা ডিক্রি মূলে মরহুম আবদুল হামিদ খানের ওয়ারিশ গং এই জমির মালিক। ছেড়া/নষ্ট করা দণ্ডনীয় অপরাধ লেখা সম্বলিত একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা জানান, ২০১০ সালে মৃত আকরাম হোসেন নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিন লাখ ১৫ হাজার টাকায় জমি কিনে ভবন করা হয়। তারপর থেকে ভবনের জায়গার দাবিদাররা আদালতে মামলা করে চলেছেন। সে কারণে নামজারি করা যায়নি।
তিনি বলেন, জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। তারপরেও কার্যালয় ভেঙে ফেলা হচ্ছে। দল ক্ষমতায় নেই এখন আমাদের দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
উল্লেখ্য, আবদুল হামিদ খানের বড় ছেলে শামছুল আরেফিন খান ইউনাইটেড পিপলস পার্টির সাবেক সভাপতি। পরবর্তীতে শামসুল আরেফিন খান বিএনপির সংসদ সদস্য পদে যশোর-৬ আসন কেশবপুর আসন থেকে নির্বাচন করে ফেল করেন। শামছুল আরেফিন খান বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী।
শামছুল আরেফিন খানের ভাই নুরুজ্জামান জানান, ভবন ভাঙা এবং জমি উদ্ধারের বিষয়ে তিনি কোনো কিছু বলবেন না। তিনি শামছুল আরেফিন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।