ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ভাটি কানাইপুর গ্রামে একাধিক মামলার চার আসামিকে ধরতে গিয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআইসহ দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন। 

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ভাটি কানাইপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাটি কানাইপুর এলাকার চার সহোদর কামরুল, জসিম, আনো ও বাদশার নামে কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাসী, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। 

গত ২৩ অক্টোবর এই চার সহোদরের বিরুদ্ধে মারপিটের আরও একটি মামলা করেন ভাটি কানাইপুর গ্রামের আনোয়ারা বেগম। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসান সিকদার রোববার বিকালে আসামিদের ধরতে থানা থেকে ফোর্সসহ তাদের গ্রামের বাড়িতে সন্ধ্যায় গিয়ে পৌঁছে। এ সময় একাধিক মামলার আসামি কামরুলকে গ্রেফতার করা হয়। 

কামরুলকে গ্রেফতারের পর মাদক ব্যবসায়ী আনু, জসিম, বাদশাসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী পুলিশের কাছ থেকে কামরুলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর লোহার পাইপ, ছুরি, টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। 

তারা পুলিশের তিন সদস্যকে বেদমভাবে মারপিট করে কামরুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন কোতোয়ালি থানার এসআই হাসান সিকদার, কনস্টেবল সাগর চন্দ্র সরকার ও মাহমুদুল হাসান। 

পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত তিন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসেন। পরে আহতরা ফরিদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

হামলার শিকার এসআই হাসান সিকদার জানান, বেশ কয়েকটি মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি কামরুলকে ছিনিয়ে নেয়। তারা আমাকে ও ২ কনস্টেবলকে আহত করেছে। 

কোতোয়ালি থানার ওসি আসাদউজ্জামান জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।