Logo
Logo
×

সারাদেশ

বড়লেখায় অজ্ঞাত স্থান থেকে সই দেন চেয়ারম্যান

Icon

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম

বড়লেখায় অজ্ঞাত স্থান থেকে সই দেন চেয়ারম্যান

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর মৌলভীবাজারের বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান ও কয়েকজন ইউপি সদস্য আত্মগোপনে চলে যান।  

এর মধ্যে গত ২৯ আগস্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগ নেতা ছালেহ আহমদ জুয়েল সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতারের পর থেকে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আছেন। 

তার অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব পালন করার কথা। তবে এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন আউয়ালও রাজনৈতিক মামলার আসামি হওয়ায় দুজনই আত্মগোপনে আছেন। এ অবস্থায় ইউনিয়নের নাগরিক সেবায় বেড়েছে চরম ভোগান্তি।

তবে অজ্ঞাত স্থান থেকে মাঝে মাঝে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর করেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন আউয়াল। এই স্বাক্ষর এবং জরুরি কাগজপত্র পেতে সেবাপ্রত্যাশীরা বারবার ঘুরে দিশেহারা। এছাড়া জটিলতা দেখা দিয়েছে প্রশাসনিক কাজেও। 

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, শুধুমাত্র পরিষদে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের দায়িত্বে আছেন বড়লেখা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম। 

সরেজমিন বড়লেখা সদর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি কাগজপত্রের জন্য সেবাপ্রত্যাশীরা ভিড় করেছেন পরিষদ প্রাঙ্গণে। কিন্তু ইউনিয়নে থাকা ইউপি সদস্য ও কর্মচারীরা তাৎক্ষণিক সেবা দিতে পারছেন না। দিনের পর দিন ঘুরেও সময়মতো কাগজপত্র না পেয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেকে।

এ ইউনিয়ন পরিষদের একজন ইউপি সদস্য বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যানরা মামলার আসামি। তারা প্রকাশ্যে আসতে পারছেন না। আবার দায়িত্বও ছাড়ছেন না। এ অবস্থায় বিপাকে পড়ে সেবা নিতে আসা লোকজনের কাগজপত্র গ্রামপুলিশ ও ইউপি সদস্যরা নিয়ে যান অজ্ঞাত স্থানে থাকা প্যানেল চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনের কাছে। সেখানে তিনি স্বাক্ষর করে দিলে কাগজপত্র নাগরিকদের হাতে পৌঁছানো হয়। এক্ষেতেও দুই-তিন সময় চলে যায়। 

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন আউয়ালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

বড়লেখা ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, রোববার ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি নজরে এসেছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম