শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ওয়াসিম (২৬) নামে এক যুবককে দা দিয়ে গলায় ও ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওয়াসিম একই গ্রামের আবুল হাসেন আলী ওরফে পেট্টুর ছেলে। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওয়াসিমদের সঙ্গে তার আপন জ্যাঠা আব্দুস সালাম গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। অপরদিকে গত কয়েক দিন আগে সেনাসদস্য ওয়াসিম তার কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। সোমবার সকালে ওয়াসিম তাদের খেতের ধান কেটে বাড়ি যাওয়ার সময় জ্যাঠা আব্দুস সালাম ও জ্যাঠাতো ভাই রঞ্জু ধারাল দা দিয়ে ওয়াসিমের গলা ও ঘাড়ে কোপ দেয়। পরে আহত ওয়াসিমকে আত্মীয়স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেরপুর জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আহসান উল মতিন সৈকত জানান, ওয়াসিমকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাই। পরবর্তীতে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

খবর পেয়ে শেরপুর সেনা ক্যাম্পের মেজর তাওসিফ অন্যান্য সেনা সদস্যদের নিয়ে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে এবং পরে নিহত সেনাসদস্য ওয়াসিমের গ্রামের বাড়িতে যান।

এ ব্যাপারে সদর থানার এসআই তারেক সঙ্গীয় ফোর্সসহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ওয়াসিমের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।

শেরপুর সদর থানার এসআই আনসার আলী প্রতিপক্ষের হামলায় সেনাসদস্য ওয়াসিমের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।