Logo
Logo
×

সারাদেশ

মাওলানা সাদকে আনতে ও জোড় ইজতেমা করার দাবিতে স্মারকলিপি

Icon

টঙ্গী শিল্পাঞ্চল (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম

মাওলানা সাদকে আনতে ও জোড় ইজতেমা করার দাবিতে স্মারকলিপি

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদকে আনতে ও আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ৫ দিন ইজতেমা ময়দানে জোড় ইজতেমা করার দাবিতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছেন মাওলানা সাদ অনুসারী তাবলিগের সাথীরা। 

সোমবার সকালে একযোগে তারা টঙ্গী পূর্ব ও পশ্চিম থানা, উপপুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের মিডিয়া সমন্বয়ক (সাদপন্থি) মো. সায়েম যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ছাড়াও সারাদেশের ৬৪ জেলার প্রসাশক ও ঢাকার বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বারবর এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। 

সায়েম বলেন, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা বিগত ৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বৈষম্যে শিকার। যুবায়েরপন্থিরা প্রতি বছর ১ম পর্ব ইজতেমা ও তাদের সর্বোচ্চ মুরুব্বিদের আনতে পারলেও বিগত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষপাতমূলক বৈষম্যের কারণ আমরা মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে আনতে পারিনি। তিনি বাংলাদেশে এলে ৫০ হাজার বিদেশি মেহমান উপস্থিত হবেন এবং সত্যকারের বিশ্ব ইজতেমায় রূপ নেবে। আমরা আশা করছি বৈষম্যবিরোধী সরকার মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে বাংলাদেশে আসার ভিসা প্রদান করে আমাদের সহযোগিতা করবে। 

তিনি বলেন, আমরা যেকোন মূল্যে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আগমন নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। 

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে বর্তমানে আলমি শূরার (জুবায়েরপন্থি) ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা চলছে। ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থিরা যাতে জোড় ইজতেমা করতে না পারে সেজন্য জুবায়েরপন্থিরা নানারকম পাঁয়তারা করছে বলে দাবি তার। 

এদিকে স্মারকলিপিতে বলা হয়, দাওয়াত ও তাবলিগের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ। প্রায় একশ বছর আগে মাওলানা ইলিয়াছ (রহ.) ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দীন বাংলাওয়ালী মসজিদ হতে রাসূলুল্লাহ (সা.) ও ছাহাবা (রা.)-এর তরিকা অনুসরণে এ মেহনত শুরু করেন। বর্তমানেও নিজামুদ্দীন বিশ্ব মার্কাজ মসজিদ হতে বিশ্ব আমির মাওলানা সা'দ কান্দলভীর মাধ্যমে এটি সমগ্র বিশ্বে পরিচালিত হচ্ছে এবং ক্রমাগত প্রচার-প্রসার লাভ করছে। নিজামুদ্দীন বিশ্ব মার্কাজকে যারা অনুসরণ করছেন তারাই আসল তাবলিগের সাথী।

এতে আরও বলা হয়, দাওয়াত ও তাবলিগের বিশ্ব আমির মাওলানা সাদ সম্পর্কে দেওবন্দ মাদরাসাকে উদ্ধৃত করে জুবায়েরপন্থিরা এবং তাদের প্ররোচনায় কিছু আলেম অসত্য তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। প্রকৃত বিষয় হলো ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার কিছু আলেমের সঙ্গে তার মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে দেওবন্দের সর্বোচ্চ কর্ণধার বিশ্ববরেণ্য আলেম মাওলানা আরশাদ মাদানী গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে এসে স্পষ্টভাবে জানিয়ে গিয়েছেন। এর অডিও রেকর্ড সংরক্ষণে আছে। 

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দেওবন্দ কখনই মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে বাধা দেওয়া বা তাকে যারা আমির মানেন তাদের মসজিদে আমল বন্ধ করা বা বাধা দেওয়ার কথা বলেননি। বরং দেওবন্দ মাদরাসার ৬৯৫১৮নং ফতোয়া হলো- নিজামুদ্দীন মার্কাজওয়ালাদের যে গোমরাহ বলবে সে নিজেই গোমরাহ। এছাড়া দেওবন্দ মাদরাসার ১৫৯১৩১, ১৬৫৩৯৫, ১৫২৬৮৭নং ফতোয়াসমূহে নিজামুদ্দীন মার্কাজের অনুসারীদের মসজিদে আমল করতে বাধা দেওয়াসহ তাদের ব্যাপারে আপত্তিকর কথা বলার ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। দেওবন্দ মাদরাসার ওয়েবসাইটে ফতোয়াসমূহ রয়েছে।

অপরদিকে বিশ্ববরেণ্য আলেম পাকিস্তানের মুফতি ত্বকী উসমানী গত অক্টোবর মাসে সৌদি আরবে অবস্থানকালে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন তাবলিগের উভয়পক্ষই হক। তাহলে আসল তাবলিগ ওয়ালাদের মসজিদে আমল বন্ধ করার জন্য যারা অপতৎপরতা চালাচ্ছে তারা ইসলামদরদি নয় বরং দুষ্কৃতকারী।  

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম