নরসিংদীর মনোহরদীতে বাবা ও ছেলেকে হত্যার পর গ্রেফতার হয়ে কারাগার থেকে পালিয়ে পুনরায় বাদীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

সোমবার দুপুরে দৌলতপুর ইউনিয়নের কোচেরচর গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন স্বামী-সন্তান হত্যা মামলার বাদী রেনুজা বেগম।

তিনি জানান, ২০২২ সালে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশী শাহজাহানের স্ত্রী নাছিমা বেগম, ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম এবং নাছিমার বোন তাসলিমা বেগম ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ির পাশে রেনুজা বেগমের স্বামী সিরাজ উদ্দিন এবং ছেলে রাকিবকে গুরুতর আহত করে। ওই রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাকিবের মৃত্যু হয়।

এর ৯ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিবের বাবা সিরাজ উদ্দিনও মারা যান। এ ঘটনায় রেনুজা বেগম বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় হত্যা মামলা করার পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। সাত মাস কারাভোগের পর নাছিমা এবং তাসলিমা জামিনে বের হলেও আটক থাকে সাইফুল।

গত ১৯ জুলাই ছাত্র আন্দোলনের সময় নরসিংদী কারাগার ভেঙে ফেলা হলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সাইফুল। এখনো সে আত্মসমর্পণ করেনি। গত ১৭ নভেম্বর বিকালে রেনুজাকে একা পেয়ে মামলা তুলে নিতে বলে সাইফুল, তার মা নাছিমা এবং খালা তাসলিমা। এ সময় রেনুজা অস্বীকার করায় তাকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনার পরদিন তিনি মনোহরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

তিনি আরও জানান, জামিনে বের হয়ে গত বছর ডিসেম্বর মাসে নাছিমা বেগম বাদী হয়ে আমাকে ও হত্যা মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা করেছিলেন। পরবর্তীতে আদালত ওই মামলা খারিজ করে দেন।

মনোহরদী থানার ওসি মো. জুয়েল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।