গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী দুই বাসের সংঘর্ষে বাসমালিক ও ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর শরীফপাড়া বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাশেম মজুমদার ও গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শিপলু আহমেদ দুর্ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের ফেলু কাজীর ছেলে লোকাল বাসের মালিক ইলিয়াস কাজী (৫৫) ও যশোরের মনিরামপুর রামনাথপুর গ্রামের  বাসিন্দা ভ্যানচালক মাসুম মিয়া (৪৫)।

গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শিপলু বলেন, গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা কাশিয়ানীর ব্যাসপুরগামী মা এন্টারপ্রাইজের একটি লোকাল বাস গোপীনাথপুর শরীফপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহণের একটি বাস পেছন থেকে লোকাল বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়।

এতে লোকাল বাসটি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ভ্যানকে চাপা দিয়ে মহাসড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক মাসুম মিয়া নিহত ও বাসের অন্তত ১০ যাত্রী আহত হন। পরে খাদে পড়ে যাওয়া বাসের ভিতর থেকে ইলিয়াস কাজীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মারাত্মক আহত ৩ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোহাগ পরিবহণের বাসটি আটক করেছে পুলিশ।

গোপালগঞ্জ ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মো. আবুল হাশেম মজুমদার বলেন, এ দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে ও সোহাগ পরিবহণের বাসটি আটক করা হয়েছে।