ছাতকের জাউয়াবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের  সভাপতি রেজা মিয়া তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার রাতে জাউয়াবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রেজা মিয়া তালুকদার কিদ্রা কাপন গ্রামের মৃত আরজু মিয়া তালুকদারের ছেলে।

রেজা মিয়া তালুকদার ও তার ভাতিজা হিরক তালুকদারে বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচষ্টোসহ নানা অপরাধ কর্মের ঘটনায় একডজন মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, রিকশাচালক আরিফ হত্যার ঘটনায় রাজধানী ঢাকার এক থানায় দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আরিফের মা সূর্যযবানু বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় চাচা রেজা মিয়া তালুকদার ও ভাতিজা হিরক তালুকদারসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া ১৬ অক্টোবর জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেল, রেজা মিয়া তালুকদার, হিরক তালুকদারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা করেছেন। এই চাচা-ভাতিজা চক্রের হাত থেকে রেহাই পায়নি তার নিকটাত্মীয়রাও। ভবন নির্মাণকালে চাচাতো ভাই মুক্তার মিয়া তালুকদারের কাছেও চাঁদা দাবি করেন হিরক মিয়া তালুকদার। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ মুক্তার তালুকদার বাদী হয়ে হিরকসহ অনন্যদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এ চক্রের প্রধান রেজা মিয়া তালুকদারসহ প্রায় সবার বিরুদ্ধে ছাতক থানাসহ সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ডজনখানেক মামলা চলমান রয়েছে। সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নানের নাম ভাঙিয়ে ছাতকে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন চাচা-ভাতিজা অপরাধী চক্র। এমন অপকর্ম নেই যা তারা করেননি। ৫ আগস্টের পর চাচা-ভাতিজা ক্যাডার বাহিনী জাউয়াবাজার ছেড়ে আত্মগোপনে পালিয়েছে। ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, একডজন মামলার আসামি রেজা মিয়া তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার সকালে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়।