Logo
Logo
×

সারাদেশ

মাটি কাটায় বাধা, বিএনপি নেতাসহ আহত ১০

Icon

বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম

মাটি কাটায় বাধা, বিএনপি নেতাসহ আহত ১০

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ২ বিএনপি নেতাসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

শনিবার দুপুরে উপজেলার পিচকামতাল গ্রামের জহিদ্দার বিলে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় মুছাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জাহিদ হাসান পাপ্পু বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।  

মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়া বলেন, শনিবার দুপুরে আমান উল্লাহর সেচ কাজে বাধা দেন গ্রামবাসী। এতে গ্রামবাসীকে সমর্থন জানিয়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়া ও পাশের ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার। ওই সময় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

তিনি বলেন, প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে এই এলাকার নদীর তীরের মাটি কেটে বিক্রি করে আমান উল্লাহ গং। এবার যাতে সেটি না পারে সেজন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পুলিশ নিয়ে শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেই। তখন আমান উল্লাহর সহযোগী মুছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বাহাউদ্দিন পুলিশের সামনেই তাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। ওই সময় তিনি পাশের জলাশয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণে রক্ষা পান। তখন গ্রামবাসীর সঙ্গে আমান উল্লাহ গ্রুপের সংঘর্ষ বেধে যায়।  

সংঘর্ষে মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারা মিয়া, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, মুছাপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জাহিদ হাসান পাপ্পুসহ ১০ জন আহত হন।  

বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, জহিদ্দার বিলে স্থানীয় মুছাপুর ইউনিয়নের বাজুরবাগ এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে আমান উল্লাহ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে পাম্পের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করে ইরি প্রকল্পে পানি সরবরাহ করেন। এতে পাম্পের পানি যে স্থানে পড়ে সেখানে একটি গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। 

এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে আমান উল্লাহগং নদীর তীরবর্তী মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করেন। এতে নদীর তীরবর্তী জমিগুলোতে বর্ষা মৌসুমে ভাঙন দেখা দেয়।

এ নিয়ে স্থানীয় গ্রামীবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বিষয়টি গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে পুলিশকে আগেই জানানো হয়েছিল। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম