
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৮ এএম
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম

আরও পড়ুন
ময়মনসিংহের ভালুকায় শ্বশুর বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের পালগাঁও গ্রামে। রাতেই লাশ দুটি উদ্ধার করে শনিবার সকালে মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
পুলিশ বলেছে পারিবারিক কলহের কারণেই এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মেয়ের ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বর্তা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে অটোচালক কামরুল ইসলামের সঙ্গে (৩৫) বেশ কয়েক বছর আগে পালগাঁও গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে রত্না আক্তারের (৩০) সঙ্গে বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে তাদের ঘরে রিফাত নামে পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
এদিকে রত্না আক্তার আবারো নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় সন্তান প্রসবের জন্য গত শুক্রবার দুপুরে কামরুলের শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম মেয়ে রত্নাকে নিতে আসেন। ওই সময় কামরুল প্রথমে স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে যেতে বারণ করলেও পরে কামরুল দুপুরেই স্ত্রী, শিশু ছেলে ও তার শাশুড়িকে নিজের অটোরিকশা দিয়ে শ্বশুর বাড়ি পৌঁছে দিয়ে চলে আসেন। সন্ধ্যার পর কামরুল তার শ্বশুর বাড়িতে যান এবং রাতের খাওয়া দাওয়া করেন।
শ্বশুর বাড়িতে একটি ঘর থাকায় শিশু ছেলেকে নিয়ে শাশুড়ি পাশের একটি বাড়ি ঘুমাতে যান এবং কামরুল তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘরে ঘুমাতে যান। রাত দশটার দিকে রিফাত কান্নাকাটি শুরু করলে নানী মনোয়ারা বেগম ওই ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় এবং আশপাশের লোকদের জানান। পরে দরজা ভেঙে ঘরের মেঝেতে মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ ও গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় কামরুলের মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
ধারণা করা হচ্ছে কামরুল দা দিয়ে কুপিয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল থেকে খুনে ব্যবহৃত দা সহ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামছুল হুদা খান বলেন, স্বামী স্ত্রীর লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এমন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তে কাজ করছে পুলিশ।