তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কুষ্টিয়া আদালতে দুপক্ষের দফায় দফায় হট্টগোল-মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালতের দুই কর্মচারী আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের সেরেস্তাদার ও কর্মচারীদের সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে এক ব্যক্তির কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে ওই ব্যক্তি বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে কর্মচারীদের ওপর হামলা করে। এতে রাকিব ও রাসেল নামে দুইজন কর্মচারী আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রথমে বিএনপির নেতা মহাসিনকে অপমান, অপদস্ত ও মারধর করে আদালতের কর্মচারীরা। পরে তার পরিচিতজনরা কর্মচারীদের মারধর করে। উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ ঘটনায় মহসিনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে আদালত পুলিশ।

আদালতের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, মহাসিন নামের এক ব্যক্তি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অ্যাকাউনটেন্ট মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে আসেন এবং টাকা নিয়ে তর্কে জড়ান। এ সময় মহসিনের সঙ্গে আদালতের কর্মচারীদের হট্টগোল হয়। এর জেরে সাড়ে ১১টার দিকে মহসিন বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে করে এনে কর্মচারীদের মারপিট করে। এতে আহত হয়েছেন দুজন কর্মচারী। মহসিনকে আদালত পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মহসিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।

আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউনুস আলী বলেন, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে হট্টগোল মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আদালত পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, আমি একটা মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলব এ ব্যাপারে।