শৈলচূড়া পাহাড় যেন মেঘের রাজ্য

জাহাঙ্গীর আলম কাজল, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম

পাহাড়ি কন্যা খ্যাত পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির হাজার ফুট উঁচু শৈলচূড়া দূরবীন পাহাড় যেন মেঘের রাজ্য।
অপরূপ সৌন্দর্যের দৃষ্টিনন্দন এই স্পষ্টটির অবস্থান বান্দরবানের সীমান্ত উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়ি ইউনিয়নে। দেশের অন্যতম উঁচু এই পাহাড় থেকে দেখা মেলে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সাগর কন্যা কক্সবাজারের।
আর কক্সবাজার থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও পূর্বে অবস্থিত হওয়ায় পর্যটকরাও আসেন স্বাচ্ছন্দ্যে।
এ গ্রামে অধিকাংশই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। যার মধ্যে রয়েছে মারমা, চাক, তংচঙ্গা, চাকমা। তাদের বসবাস পাহাড়ের চূড়ায় বা পাহাড়ের ঢালুতে। তাদের প্রধান পেশা কৃষি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে এই পাহাড়টি অনেকের কাছে শৈলচূড়া পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ও পরিচিত। এই পাহাড়টি অধিক উঁচু হওয়ায় এখানে যেতে হয় চাঁদের গাড়ি, মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে।
অপরদিকে যার প্রবেশ পথে দেখা মিলে পাহাড়িদের নানান জীবনযাত্রা। আর সুবিশাল উঁচু পাহাড়ে সবুজের আড়ালে বাহারি বাগান ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক চোখে পড়ার মতো; যা দেখে ২০১৮ সালে পার্বত্য জেলা পরিষদ ও বিজিবি গড়ে তোলে পর্যটকদের জন্য যাত্রী ছাউনি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বসবাসকারীদের মানোন্নয়নে পানীয় জলের সুবিধা।
পাহাড়ি এই গ্রামটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজারও পর্যটক।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সরেজমিন দেখা হয় বগুড়া থেকে আসা আলম ও পপি দম্পতি এবং কুমিল্লার শামিম চৌধুরীসহ অনেকের সঙ্গে। এই প্রতিবেদককে তারা জানান, তারা কক্সবাজার ট্যুরিজম থেকে শুনে হাজার ফুট উঁচু পাহাড় দেখে প্রথমে ভয় পেয়েছেন, কিন্তু উপরে উঠে ভয়ের চেয়ে আনন্দই পেয়েছেন বেশি। কারণ এই উঁচু পাহাড়ি গ্রাম থেকে মেঘের সঙ্গে মিতালির স্বাদ পেয়েছি; যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।
পর্যটকদের রাতযাপনের জন্য রয়েছে জেলা পরিষদের সরকারি রেস্ট হাউস। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যটকের দেখাশোনা নিজেই করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
এ বিষয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির প্রতিটি গ্রাম ও পাহাড়গুলো একেকটি দর্শনীয় স্থান।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,পর্যটন সম্ভাবনাময় শিল্প। চলমান পর্যটন স্পটের পাশাপাশি নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র আবিষ্কারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি রয়েছে। পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন।