শেরপুরে আমন ধানকাটা মাড়াই চলছে পুরোদমে। আর এ ধান কাটাকে কেন্দ্র করে কৃষি শ্রমিকের হাটগুলো এখন জমজমাট।
প্রতিদিন ঘন কুয়াশায় ঢাকা ও শীতের চাদর মোড়ানো ভোরে ফজর নামাজের সময় থেকে শেরপুর শহরের শেখহাটি, খরারপাড় ও শেরি ব্রিজ এলাকায় এ কৃষি শ্রমিকের হাট বসে।
শেরপুর শহর ও আশপাশের গ্রাম থেকে ধান কাটার কৃষি শ্রমিকরা দলে দলে ধান কাটার কাঁচি, ধানের আঁটি বহন করার প্রয়োজনীয় রশি ও স্থানীয় ভাষায় বাঁশের তৈরি ভাং নিয়ে হাটগুলোতে হাজির হন। গেরস্থ কৃষকরা সেখানে এসে মজুরির দাম-দর বনিবনা হওয়ার পর ওই শ্রমিকদের কাজের স্থলে যান। কাছে হলে হেঁটে এবং দূরে হলে অটোরিকশায় করে কৃষি শ্রমিকদের ধানের মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে কৃষি শ্রমিকের হাট। সকাল ৭টার মধ্যে কৃষি শ্রমিকের সরগরম হাট ফাঁকা হয়ে যায়।
মাঠ থেকে ধান কাটা, নিয়ে আসা, মাড়াই করা এবং ঘরে ধান তুলে দেওয়াসহ প্রভৃতি কাজ করছেন কৃষি শ্রমিকরা। কৃষি শ্রমিকের কদর অনেক বেড়ে যাওয়ায় এখন মজুরি ৫শ টাকা থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। মজুরি ছাড়াও দুই বেলা খাবার দিতে হচ্ছে শ্রমিকদের।
শেরপুরে এবার আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ছিল ৯২ হাজার ৯৮২ হেক্টর জমিতে; কিন্তু অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান নষ্ট হয়েছে।
জেলায় এ পর্যন্ত মাঠে থাকা ৫০ ভাগ জমির আমন ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।