Logo
Logo
×

সারাদেশ

মামলা ছাড়া গ্রেফতার, জামিনে এসে ১ মণ দুধে গোসল

Icon

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পিএম

মামলা ছাড়া গ্রেফতার, জামিনে এসে ১ মণ দুধে গোসল

ঢাকার ধামরাইয়ে মামলা ছাড়া গ্রেফতারের পর জামিনে এসে এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করলেন মো. আব্দুল মান্নান নামে এক প্যারামেডিকেল চিকিৎসক। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গাং গুটিয়া ইউনিয়নের উত্তর হাতুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহত  কলেজছাত্র রফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আব্দুল মান্নানকে আদালতে প্রেরণ করে ধামরাই থানা পুলিশ। ৯ নভেম্বর আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান। 

১০ নভেম্বর ঢাকার ধামরাই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করা হলে এ বিষয়ে দীর্ঘ শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। সোমবার আব্দুল মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। জেল গেটে নানা বিড়ম্বনার কারণে ডাক্তার আব্দুল মান্নান মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে কারামুক্ত হন।

তাকে বাড়িতে আনা হলে পরিবারের লোকজন বালামুসিবত মুক্ত (বিপদ) করতে রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়ির আঙিনায় এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করানো হয়। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। 

আব্দুল মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ শাহিন আলম বলেন, আমার বাবা একজন নিরীহ শান্ত স্বভাবের মানুষ। এলাকার সবাই তাকে ভালোবাসেন ও শ্রদ্ধা করেন। একটি স্বার্থান্বেষী মহল ধামরাই থানার এসআই জিয়াউর রহমানকে প্রভাবিত করে ৯ নভেম্বর বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার গাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া বাজারে আমাদের মালিকানাধীন হাজী ফার্মেসি থেকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা মোকদ্দমা নেই। গ্রেফতারের পর তাকে রফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলায় আদালতে প্রেরণ করে। এমনকি তাকে ধামরাই থানা পুলিশের রিমান্ডেও আনা হয় আদালত থেকে। পরবর্তীতে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। জজ আদালত বিশেষ বিবেচনায় আমার বাবাকে জামিনে মুক্ত করে দিয়েছেন। তাই তাকে বাড়িতে এনে বিপদ মোচন করতে এক মণ দুধ দিয়ে গোসল করিয়েছি।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার এসআই মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি কলেজছাত্র রফিকুল ইসলাম সাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত নামীয় আসামি নয়। তাকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম