Logo
Logo
×

সারাদেশ

১১৫ দিন পর তোলা হলো শ্রমিকদল নেতার লাশ

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ পিএম

১১৫ দিন পর তোলা হলো শ্রমিকদল নেতার লাশ

আদালতের নির্দেশে বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে নিহত গাবতলী পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমানের লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। 

বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদের উপস্থিতিতে মৃত্যুর ১১৫ দিন পর গাবতলী উপজেলার গোড়দহ উত্তরপাড়ার কবরস্থান থেকে তার লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ আবারও যথাস্থানে দাফন করা হবে।

এজাহার সূত্র জানায়, নিহত জিল্লুর রহমান বগুড়ার গাবতলী উপজেলার গোড়দহ উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। তিনি গাবতলী পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি। 

গত ৪ আগস্ট দুপুরে বগুড়া শহরের ঝাউতলা এলাকায় মিছিল চলাকালে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ, ককটেল ও পেট্রোলবোমা হামলা করে। সেখান থেকে পালানোর সময় বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান রবিন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে জিল্লুর রহমানকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে বুকে গুলি লেগে জিল্লুর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। 

গাবতলী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি রায় সিটনও তার হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে জিল্লুরকে গুলি করেন। পরে স্থানীয় লোকজন জিল্লুরকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম সদর থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৫৫৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।  

মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ কয়েকজন মন্ত্রী, পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যার ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ মামলায় বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন কারাগারে আছেন। তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও নিম্ন আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম