বিএনপি নেতাকে হত্যা: ১৪ বছর পর পলকসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নাটোর ও সিংড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
রাজশাহীতে ২০১০ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভায় যাওয়ার পথে নাটোরের সিংড়ায় হামলা করে আড়াইশ গাড়ি ভাঙচুর ও বিএনপি নেতা জাকির হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
ঘটনার ১৪ বছর পর মঙ্গলবার বিকালে নিহতের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা রনি (৫১) বাদী হয়ে সিংড়া আমলি আদালতে মামলাটি করেন। মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ তার ১২২ জন অনুসারীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন আলী মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দিয়েছেন।
নাটোরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০১০ সালের ৫ মে সকালে রাজশাহীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভায় যাওয়ার জন্য বগুড়া জেলার নেতাকর্মীরা প্রায় দেড় হাজার ছোট-বড় গাড়ির বহর নিয়ে রওনা করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাড়িবহরটি নাটোরের সিংড়া বাস টার্মিনালের কাছে পৌঁছলে মামলার এক নম্বর অভিযুক্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশে তার ঘনিষ্ঠ সহচর ফাইভ স্টার বাহিনীর সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, সাজ্জাদ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ভোলা, রুহুল আমিন হুজুর, ডালিম আহমেদ ডন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা, অধ্যক্ষ লুৎফুল হাবিব রুবেলসহ অভিযুক্তরা পিস্তল, রাইফেল, রিভলবার, আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে বাধা দেয়। এ সময় তারা হামলা করে বাদীর স্বামী বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাদ্রাসাশিক্ষক জাকির হোসেনসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করে।
জাকির হোসেনকে প্রথমে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বগুড়ার প্রয়াত বিএনপি নেত্রী লাভলী রহমানসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
বাদী বলেন, ঘটনার পর এ বিষয়ে সিংড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে আসামিদের চাপে পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি। এখন তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি তার নিরপরাধ স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যার উপযুক্ত বিচার চান।