গাজীপুরের শ্রীপুরে বনভোজনের দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে আইইউটির তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগ, বিআরটিসি বাস কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং রিসোর্টসহ সবার দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে তদন্ত টিম।

সোমবার দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসা বুয়েটের অধ্যাপক জিয়াউর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পরপরই সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আমরা কয়েকজনের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে এসেছি।সরেজমিন রাস্তা, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ঘুরে দেখেছি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হয়েছে। দেখে যেটি মনে হলো- গত কয়েক বছরে এই গ্রামীণ সড়কটি কমপক্ষে ৩ ফুট উঁচু হয়েছে। যে কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিচু হয়ে গেছে। রাস্তা যেভাবে উঁচু হচ্ছে, সেভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন উঁচু হচ্ছে না। ফলে দোতলা বাসটির ছাদ সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে লেগে যায়।

তিনি আরও বলেন, এ ছাড়াও একটি বিষয় লক্ষ্য করলাম সঞ্চালন লাইন অনেক স্থানে ঝুলে রয়েছে। আর যে স্থানে দুর্ঘটনা হয়েছে, সেখানে সঞ্চালন লাইন অনেকটাই রাস্তার মাঝামাঝি। এই সরু গ্রামীণ সড়ক দিয়ে কীভাবে দোতলা বাসে এতগুলো শিক্ষার্থীকে নেওয়া হচ্ছিল, এটিও একটি প্রশ্ন।

সোমবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) গঠিত তদন্ত কমিটির সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী এলাকায় দুর্ঘটনাকবলিত স্থান পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বুয়েটের প্রতিনিধি দলটি। এ সময় বিআরইবি গঠিত তদন্ত কমিটি ও বুয়েট প্রতিনিধি দলের একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

গত শনিবার শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের পেলাইদ গ্রামের ‘মাটির মায়া’ নামক রিসোর্টে বনভোজনে যাওয়ার পথে বিআরটিসির একটি দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) তিন শিক্ষার্থী প্রাণ হারান।