টাঙ্গাইলে রাতের আঁধারে এসডিএসের মাটি সাবাড়
যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চারাবাড়ি এলাকার সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সংসদের (এসডিএস) জমির দলিল বাতিলসহ আদালতে দুটি মামলা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে ভেকু বসিয়ে জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহ যাবত এভাবে মাটি কাটায় টাঙ্গাইল তোরাপগঞ্জ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে মাটি বিক্রি বন্ধের দাবি জানান স্থানীয়রা।
রোববার বিকালে চারাবাড়ি
এসডিএসে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, একটি ভেকু ও একটি ড্রাম ট্রাক পার্কিং করে রাখা হয়েছে।
ডাম ট্রাক ও ভেকুর ৫০ মিটার দক্ষিণে মাটি কাটার প্রমাণ পাওয়া যায়।
পাহারায় থাকা রিপন
আহমেদ বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত মাটি কেটে বিক্রি করা হয়। তবে দিনে
মাটি কাটা হয় না। এখানে অনুমতি ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
গত ১২ মার্চ সদর
উপজেলার বেলটিয়াবাড়ী গ্রামের মৃত আ. ছবুর প্রামাণিকের ছেলে ইসমাইল হোসেন সিরাজী বাদী
হয়ে টাঙ্গাইলের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতে একটি মামলা করেন। মামলায় শহরের দিঘুলিয়া
এলাকার মৃত শামছুল হকের ছেলে মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সখীপুরের কচুয়া রোড আড়াইপাড়া গ্রামের
আনছার আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম, সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের ইমান আলীর ছেলে আকবর আলী,
মাগুরাটা গ্রামের মৃত আইন উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান, স্বদেশ রোড এলাকার সুরুজ্জামানের
ছেলে জাকির হোসেনকে বিবাদী করা হয়।
একইদিন ইসমাইল হোসেন
সিরাজী বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। অপর মামলায় শহরের দিঘুলিয়া এলাকার মৃত শামছুল
হকের ছেলে মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সখীপুরের কচুয়া রোড আড়াইপাড়া গ্রামের আনছার আলী ছেলে
নুরুল ইসলাম, শহরের পাতুলীপাড়া এলাকার মৃত কলিল উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে ওস্তাগীর হোসেন,
একই এলাকার মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে মোকছেদ আলী ও স্বদেশ রোড এলাকার সুরুজ্জামানের
ছেলে জাকির হোসেনকে বিবাদী করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা
গেছে, ২০১৫ সালে নুরুল ইসলাম ইসলামিক রিসার্স ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দাবি করে মুহাম্মদ
মোজাম্মেল হকের কাছে জমি বিক্রি করেন। মোজাম্মেল সাইনবোর্ডে উল্লেখ করেছেন, তিনি ক্রয়
সূত্রে ৮০০ শতাংশ জমির মালিক।
মোজাম্মেল হক বলেন,
আমি রেজিস্ট্রি করা জমি থেকে মাটি কাটছি। এর আগে মামলা হলে আদালত সেটিকে খারিজ করে
দিয়েছেন।
টাঙ্গাইল জজ কোর্টের
আইনজীবী মালেক আদনান বলেন, জমিতে মামলা চলমান থাকলে কোনো পক্ষ তা ভোগ বা মাটি কাটতে
পারবে না।