Logo
Logo
×

সারাদেশ

রাজশাহীতে কৃষক দল নেতা হত্যার ছয় বছর পর মামলা

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম

রাজশাহীতে কৃষক দল নেতা হত্যার ছয় বছর পর মামলা

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষক দলের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে হত্যার ছয় বছর পর মামলা করেছে পরিবার। এ মামলায় পুলিশ স্থানীয় এক শীর্ষ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই মাদক কারবারির নাম সেতাবুর রহমান বাবু (৩৬)। তার বাবার নাম আতাউর রহমান। বাড়ি উপজেলার মাটিকাটা গ্রামে। তিনি মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি এই সেতাবুর রহমান বাবু। তার নামে একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। আওয়ামী লীগের এই কর্মী এতদিন দাপটের সঙ্গেই মাদক ব্যবসা করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাবুর বাবা আতাউর রহমান (৬০), বাবুর চাচা নাসির উদ্দিন নয়ন (৫২), মো. ডালিম (৩৬), মো. আলমগীর (৪৫), তরিকুল ইসলাম কালু (৪৫), সোহেল রানা (৩০), তরিকুল ইসলাম (৩২), মো. সাদ্দাম (৩৪) ও দুরুল মুন্সি (৫২)।

নিহত নজরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম কুসুম উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। তার আরেক ছেলে আসাদুজ্জামান সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান মাসুম সম্প্রতি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন। তখন আদালত গোদাগাড়ী থানা পুলিশকে প্রাথমিক তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়। এরপর পুলিশ তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে যে বাদীর অভিযোগ সঠিক। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী শনিবার রাতে থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে এ মামলার প্রধান আসামি বাবুকে গ্রেফতার করা হয়।

এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নজরুল ইসলাম ও তার ছেলে রবিউল সরকার কুসুম মাটিকাটা ভোটকেন্দ্রে যান। এ সময় আওয়ামী লীগের ওই কর্মীরা বাবা-ছেলেকে পিটিয়ে আহত করেন। ভোট দিতে গেলে প্রাণেই মেরে ফেলা হবে বলে তাদের হুমকিও দেওয়া হয়। তবে বাবা ছেলে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন।

এরপর ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আসামিরা নজরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করেন। তারা ব্যাপক ভাঙচুর চালান। দুই লাখ টাকার মালামালও লুট করেন। বাধা দিতে গেলে আসামিরা নজরুল ইসলামকে লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যান। ওই সময় আসামিরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই নজরুল ইসলামের মরদেহ দাফন করতে বাধ্য করেন। আসামিদের ভয়ে তখন পরিবারের সদস্যরা মামলাও দায়ের করতে পারেননি।

গোদাগাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শনিবার রাতে থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর মামলার প্রধান আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম