Logo
Logo
×

সারাদেশ

আত্মীয়স্বজন বিএনপির কর্মী হওয়ায় চাকরি হারানোর অভিযোগ

Icon

গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২২ পিএম

আত্মীয়স্বজন বিএনপির কর্মী হওয়ায় চাকরি হারানোর অভিযোগ

বাবা, ভাই, স্বামী ও আত্মীয়স্বজন বিএনপির কর্মী-সমর্থক হওয়ায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাফিজা খাতুন নামে এক সহকারী শিক্ষিকা চাকরি হারিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ভাদুড়িচর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার সহধর্মিণী এবং হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল হোসেন তালুকদারের মেয়ে। 

জানা যায়, প্রয়াত বিএনপি নেতা এবং চেয়ারম্যান আবুল হোসেন তালুকদার নিজ গ্রামে ১৯৯০ সালে বন্দআজগড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তার স্ত্রী রহিমা খাতুন স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় জমি ওয়াকফ করে দেন। নিজ খরচে একটি ভবনও নির্মাণ করে দেন তিনি।  প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯০ সালের ১ সেপ্টেম্বর কার্যকরী কমিটির নিয়োগপত্রের মাধ্যমে হাফিজা বেগমসহ চারজন শিক্ষক স্কুলে যোগদান করেন। 

পরে স্কুলটি ২০০৫ সালে রেজিস্ট্রিপ্রাপ্ত হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতাকর্মী হাফিজা খাতুনকে স্কুলে আসতে নিষেধ করেন। তারা বিএনপির সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর আত্মীয় হওয়ার অভিযোগ তুলে হাজিরা খাতায় সই না করতে হাফিজা খাতুনকে বারণ করেন। তবু হাফিজা খাতুন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসতে থাকেন। 

পরে ২০১৩ সালে দেশের রেজিস্ট্রিপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করার কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ঢাকাস্থ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে যে কাগজপত্র ও প্রতিবেদন পাঠান তাতে শিক্ষিকা হাফিজা খাতুনের নাম কৌশলে বাদ দেওয়া হয়। ফলে স্কুলটি সরকারীকরণ হলেও হাফিজা খাতুন শিক্ষক হিসেবে বাদ পড়ে যান। তিনি অভিযোগ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকলেও বাবা, ভাই, স্বামী এবং আত্মীয়স্বজনরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। তিনি এ অবিচারের প্রতিকার এবং চাকরি ফেরত পাওয়ার প্রার্থনা জানান। 

গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মফিজুর রহমান জিন্না জানান, এটি অনেক আগের ঘটনা। তিনি দুই বছর আগে এখানে যোগ দিয়েছেন। ঠিক কি কারণে তার নাম বাদ পড়েছে তা তিনি জানেন না। তবে খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি পরে জানাবেন বলে জানান। বক্তব্য জানার জন্য গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদারের সেলফোনে রিং দিলেও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম