
প্রিন্ট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম
আত্রাই নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে ম্যাজিস্ট্রেটের মামলা

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় আত্রাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর স্বপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছেন নওগাঁর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবার নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ( আমলি আদালত) রবিউল ইসলাম স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি গ্রহণ করে নওগাঁর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর মামলা তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট। একই সময়ে মান্দার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া অন্য নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলে তা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামালার আমলি আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আয়াপুর, লক্ষীরামপুর ও মদনচক এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার প্রতিবাদে ৭ নভেম্বর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ আদালতের নজরে আসে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনকারীদের অভিযোগের প্ররিপ্রেক্ষিতে করা সংবাদটি বিশ্লেষণ করে আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এটা স্পষ্ট যে কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই ইজারাদার রহমত উল্লাহ ও তার সহযোগী মোয়াজ্জেম হাজী ও মেহেদী হাসান মান্দায় আত্রাই নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তুলছেন। অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় নদীর পূর্ব ও পশ্চিম তীরবর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়তে পারে। অবৈধ বালু উত্তোলন, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ধারা ৪ ও ৫-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং একই আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী শস্তিযোগ্য অপরাধ।
এই অপরাধের সাথে আরও কারা জড়িত এবং কাদের দ্বারা ও সহযোগিতায় সংঘটিত হচ্ছে, তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে খুঁজে বের করা প্রয়োজন। তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের শনাক্তের প্রয়োজন মনে করে তা তদন্তের নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
আদেশে আরও বলা হয়, তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তকালে আসামীদের শনাক্ত, অপরাধ সংগঠনের সুনির্দিষ্ট তারিখ নিরূপণ, সাক্ষীদের জবানবন্দি, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচিপত্র প্রস্তুত করবেন।
পাশাপাশি অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে তা জব্দ করবেন। এছাড়া বালু উত্তোলন করতে গিয়ে আরও কোনো আমলযোগ্য অপরাধ সংঘঠিত হয়ে থাকলে তাও তদন্তের মাধ্যমে নিরূপণ করবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।