Logo
Logo
×

সারাদেশ

হাতীবান্ধায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ আহত ১০

Icon

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

হাতীবান্ধায় দুপক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ আহত ১০

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ধানখেত দখল করতে গিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক ইউপি সদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার গেন্দুকুড়ি উত্তর সীমান্ত এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলার টংভাঙ্গা ইউপি সদস্য ও গেন্দুকুড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ, সাকিব, সৌরভ, মিনারুল, সিরাজুল, আব্দার রহমান, জুয়েল, সুমন, মনির, কাজল ও জীবন।

জানা গেছে, উপজেলার গেন্দুকুড়ি উত্তর সীমান্ত এলাকার আবাদি জমি নিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের সঙ্গে আতিকুল ও নূরল গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওই জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন ওই এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তাদের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

দুপুরের দিকে আতিকুল ও নূরল গংদের লোকজন ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ ও তার লোকজনের উপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। ফলে দুপক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নূরুলের শ্যালক হাফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমার বোনজামাই নূরুলের এই জমি তারা (হামিদ গং) জোরপূর্বক নিজেদের দাবি করছে। তাদের কাছে যদি জমির কাগজ থাকে তাহলে সেটা দেখাবে।

ওই জমি নিজের দাবি করে টংভাঙ্গা ইউপি সদস্য আহত আব্দুল হামিদ বলেন, আমি আমার জমি আবাদ করেছি। এমনকি ধান কেটে জমিতে রেখেছি। সেই ধান নিয়ে আসার আগেই তারা লাঠিসোটা নিয়ে এসে ধান তুলে নিয়ে যায় ও আমাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলায় আমি ও আমার ছেলেসহ অনেকেই আহত হয়েছি।

হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, আহতদের মধ্যে গুরুতর কয়েকজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম