টঙ্গী আ.লীগের অফিসে এখন মাদকসেবীদের আড্ডা
টঙ্গী শিল্পাঞ্চল (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পিএম
এক সময় ছিল জমজমাট। নেতাকর্মীদের পদভারে মুখরিত ছিল টঙ্গী নতুনবাজার এলাকার আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস। আসবাবপত্রে সাজানো অফিসের ভেতরে নেতাদের গোপন কক্ষও ছিল। নেতাদের আয়েসের জন্য পাতানো খাটে সুন্দর বিছানায় এখন মাদকসেবীরা শুয়ে শুয়ে মাদক সেবন করে। একই সঙ্গে অফিসের বড় ফ্লোরেও গণহারে চলে মাদক সেবন। বলা যায়, টঙ্গী আওয়ামী লীগ অফিস এখন মাদকসেবীদের দখলে।
সরেজমিন টঙ্গী আওয়ামী লীগ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কোন আসবাবপত্র নেই। ৫ আগস্ট বিকালে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অফিসের সব আসবাবপত্র। দেওয়াল ও ফ্লোরে এখন শুধু আগুনে পোড়া দাগ। ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ। ফ্লোরে কোনো জিনিসপত্র নেই। ফাঁকা ফ্লোর ও বারান্দা পুরোই অরক্ষিত। দরজা জানালা পুড়ে যাওয়ায় পুরো অফিস উš§ুক্ত। তবে সম্প্রতি মাদকসেবীদের আখড়া হয়ে গেছে টঙ্গী আওয়ামী লীগ অফিস। অফিসের ফ্লোরে ও নেতাদের গোপন কামড়ায় মাদকসেবীরা নিশ্চিন্তে বসে ও শুয়ে মাদক সেবন করে। কিন্তু কোনো ক্যামেরা দেখলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে টঙ্গী আওয়ামী লীগ অফিস ছিল জমজমাট। সারা দিন নেতাকর্মীরা আসা-যাওয়া করতেন। সন্ধ্যা হলেই আসতেন বড় নেতারা। সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও আজমত উল্লাহ খানের মতো বড় নেতারা কম আসতেন। সব সময় অফিস নিয়ন্ত্রণ করতেন রাসেলের চাচা গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মতিউর রহমান মতি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আÍগোপনে থাকায় কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কায়সার আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, পুলিশ সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হবে।