Logo
Logo
×

সারাদেশ

গৌরনদীতে হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু, স্বজনদের বিক্ষোভ

Icon

গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ পিএম

গৌরনদীতে হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু, স্বজনদের বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বেজগাতি সুইজ হাসপাতালের ২ নার্সের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক টেনেহেঁচড়ে নিয়ে প্রসূতির নরমাল ডেলিভারি করানোর সময় নবজাতক মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত দুই নার্স জেসমিন আক্তার ও লিমা আক্তার।

শুক্রবার সকালে সুইস হাসপাতালে ভিড় করেন রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী। ভুল চিকিৎসায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগে ২ নার্সের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে তারা পালিয়ে যান।

এ সময় বিক্ষুব্ধরা হামলা চালিয়ে মার্কেটিং অফিসার মনিরকে মারধর করেন। খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

প্রসূতির স্বামী গৌরনদী পৌরসভার টরকীরচর এলাকার সবুজ মোল্লা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার স্ত্রী সাবিহা বেগমের (২০) প্রসব বেদনা শুরু হলে বেজগাতি সুইজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে সেখানে কোনো এমবিবিএস চিকিৎসক না থাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত ডিএমএফ (ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি) সঞ্জীব মজুমদার তার স্ত্রীকে ভর্তি করেন। 

তিনি বলেন, একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে নার্স জেসমিন আক্তার ও লিমা আক্তারকে দিয়ে জোরপূর্বক তার স্ত্রী সাবিহাকে নরমাল ডেলিভারি করার চেষ্টা চালায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আধঘণ্টা চেষ্টার পর একটি ছেলের জন্ম হয়। তবে নবজাতক অচেতন অবস্থায় থাকায় এবং কোনো কান্নাকাটির শব্দ না করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক নবজাতককে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরার্মশ দেন। 

ভোর পৌনে ৫টার দিকে নবজাতককে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, নবজাতককে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। 

সুইস হাসপাতালের কর্তব্যরত ডিএমএফ ডা. সঞ্জীব মজুমদার বলেন, ভর্তির সময় পরীক্ষা নিরীক্ষায় দেখা গেছে প্রসূতি মা ও তার গর্ভের সন্তান সুস্থ ছিল। তবে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

সুইস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ রুপা খাতুনের কাছে নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। বলেন, আমি কোনো বক্তব্য দিব না। রোগীর স্বজনদের কোনো অভিযোগ নেই। আপনারা যে যা লিখতে পারেন লিখেন।

গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।  অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গৌরনদী থানার ওসি ইউনুস মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে  আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম