কচুয়ায় মুঘল শাসনামলে নির্মিত ‘গায়েবি মসজিদ’
কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম
কচুয়ায় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এ উপজেলায় ইসলামী সংস্কৃতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শনও রয়েছে। উপজেলার আটোমোর পূর্বপাড়া গ্রামে রয়েছে ‘গায়েবি মসজিদ’। এটি বর্তমানে প্রাচীন শাহী জামে মসজিদ নামে পরিচিত। এ মসজিদটি কবে, কখন এবং কীভাবে নির্মিত হয়েছে তা কেউ জানেন না। বর্তমানে এর নামকরণ করা হয়েছে আটোমোর পূর্বপাড়া প্রাচীন শাহী জামে মসজিদ। তবে ধারণা করা হয়, প্রায় ৬০০ বছর আগে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। সে সময় থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রাচীনতম এ মসজিদটি আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে অক্ষত অবস্থায়। তবে বর্তমানে মসজিদটিকে বড় আকারে নির্মাণ করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। কাজ শেষ করতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসী।
মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরুল হক নিজামী জানান, লোকমুখে শুনেছি সম্ভবত মুঘল শাসনামলে এলাকাবাসী বনজঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে মসজিদটির সন্ধান পান। সে সময় এলাকায় জনবসতি না থাকায় বনজঙ্গলে আচ্ছন্ন হয়ে মসজিদটি ঢাকা পড়ে যায়। মুঘল আমলে কে বা কারা এ মসজিদটি নির্মাণ করেছেন তা কেউ জানেন না। সে থেকে এলাকার মানুষ মসজিদটিকে ‘গায়েবি মসজিদ’ হিসাবে আখ্যায়িত করে আসছেন। তাছাড়া পূর্বে একগুম্বজবিশিষ্ট মসজিদটিতে ইমামসহ নয় থেকে ১০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন। বর্তমানে মসজিদে ২০০ থেকে ৩০০ জন মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদটি প্রায় ১৮ শতাংশ জমিতে নির্মিত রয়েছে। বর্তমানে মসজিদটিকে বৃহৎ আকারে নির্মাণ করা হচ্ছে। এখন বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতি শুক্রবার মুসল্লিরা এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন। মসজিদটি সংস্কারের জন্য সরকারি কিংবা বেসরকারি সহায়তার পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এলাকাবাসী। মসজিদটির পূর্বপাশে নির্মাণ করা হয়েছে আটোমোর জামালিয়া হাফিজিয়া নূরানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা।
মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ মো. বায়েজিদ সরকার বলেন, মসজিদ প্রসারিত করতে গিয়ে অনেক টাকার ঋণ হয়েছে। ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, মসজিদটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।