রাজশাহীতে দিনদুপুরে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বজলুর রহমান মন্টুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ঘটনার পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত, তবে তাকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

আহত বিএনপি নেতা মন্টুকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি নিজেই চিকিৎসককে তার পরিচয় দিয়ে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর ভদ্রা এলাকায় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তবে কে বা কারা কেন ছুরিকাঘাত করেছে সেসবের বিস্তারিত জানতে পারেননি চিকিৎসকরা।

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, মন্টুর পেটে ও কপালে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। দুপুর পৌনে ২টা নাগাদ তাকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখানে মন্টু নিজেই তার পরিচয় দেন। জরুরি বিভাগ থেকে তাকে সার্জারি বিভাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত। তবে বিভাগীয় প্রধানের তত্ত্বাবধানে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বজলুর রহমান মন্টুর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলা যায়নি। তবে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহবায়ক এরশাদ আলী ঈসা বলেন, কে বা কারা কেন ছুরিকাঘাত করেছে, সেটা বলতে পারব না। এটা মন্টুর কাছ থেকেই শুনতে হবে। এ ব্যাপারে পুলিশও খোঁজখবর নিচ্ছে।

নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ভদ্রা এলাকায় গিয়েছিলেন। স্থানীয় লোকজন তাকে জানিয়েছেন, দুপুরে রেললাইনের পাশে চায়ের দোকানে বসে বিএনপি নেতা মন্টুসহ ২০-২৫ জন ব্যক্তি কোনো একটা বিষয়ের আপস-মীমাংসার ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন। তখন সেখানেই ঘটনাটি ঘটে।

ওসি বলেন, ঘটনাস্থলটি রেলওয়ে থানার ভেতরে। বিষয়টি রেলওয়ে থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে। আমাদের কাছেও যদি অভিযোগ করে সেই অভিযোগ নেব। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে সেই ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে।