Logo
Logo
×

সারাদেশ

গাইবান্ধায় বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

Icon

সাঘাটা( গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ এএম

গাইবান্ধায় বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদ নিয়ে পলাশবাড়ী পৌর শহরে সন্ধ্যার পর হতে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ককটেল বিস্ফোরণ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, দোকান, বসতবাড়ী, ব্যক্তিগত চেম্বার ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে । এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের পলাশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা সম্ভাব হয়নি। 

বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবকে ঘিরে উভয় দলের নেতাদের মধ্যে পক্ষে-বিপক্ষে তর্কবির্তক থেকে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সূত্রপাত হয়। পরে উভয় দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হলে চৌমাথা মোড়ে বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পৌর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। গোটা পৌর শহর অন্ধকার হয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  সাধারণ মানুষ প্রাণভয়ে এদিক সেদিক ছুটে গিয়ে নিজেদের রক্ষা করেন।

দীর্ঘ সময় ধরে চলা এ সংঘর্ষ সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেশীয় অস্ত্রহাতে চৌমাথা মোড়ের রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক, পৌর শহরের কালীবাড়ী হাটসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে মহড়া দেয় বিএনপি-জামায়াতের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এতে সন্ধ্যার পরে পৌর শহরের ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়।  পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।  

পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ  জুলফিকার আলী সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে পুলিশ ও সেনাবাহীনির টহল জোরদারের পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করেনি।

উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদটি শুন্য হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন জামায়াত নেতা রাহিদুল ইসলাম বাবু।  ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর হতে পরিষদ পরিচালনায় অন্যান্য ইউপি সদস্যদের মূল্যায়ন না করায় ইউপি সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ বিষয়টি জানতে পেরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাহিদুল ইসলাম বাবু ও তার লোকজন ইউপি সদস্যদের নিকট জোরপূর্বক অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর গ্রহণ করে।  এ বিষয়টি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অনুসারী ইউপি সদস্যরা।

অপরদিকে ইউপি সদস্যদের বক্তব্য মিথ্যা দাবী করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাহিদুল ইসলাম বাবু।  এরপর গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার ৮ জন ইউপি সদস্য পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অনাস্থা প্রস্তাবসহ অভিযোগ দাখিল করেন। এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদে আলোচনাকালে উভয় পক্ষের মাঝে তর্কবির্তক শেষ পর্যন্ত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রূপ নেয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম