বরগুনায় ন্যায্যমূল্যের বাজারে উপচেপড়া ভিড়
বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পিএম
বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেট ভাঙতে বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চালু হয়েছে এক ব্যতিক্রমী সবজির বাজার। এই বাজারে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে ন্যায্যমূল্যে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
এতে প্রতি কেজি শাকসবজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে পণ্য কিনতে পারায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
বুধবার বরগুনা পৌরসভার মাছ বাজারের সামনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। দুপুরে পরিদর্শন করেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা।
বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকদের কাছ থেকে শাকসবজি কিনে তা নির্ধারিত স্থানে বিক্রি করছেন শিক্ষার্থীরা। সবজি কিনতে হামলে পড়েছেন ক্রেতারা। ছাত্ররা ব্যস্ত ক্রেতা সামলাতে। অন্যদিকে সাধারণ বিক্রেতারা চেয়ে আছেন শিক্ষার্থীদের দোকানের দিকে। ক্রেতা না পেয়ে বাধ্য হয়েই সব কিছুতে দাম কমাতে শুরু করছেন তারা।
বাজারে আসা ক্রেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এখানে প্রতিটি পণ্যের দাম অন্যান্য দোকানের তুলনায় প্রায় ১০ টাকা কম। এভাবে বাজার চলতে থাকলে আমরা সিন্ডিকেটমুক্ত একটি বাজার পাব।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরাও সরাসরি পণ্য বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন, যা আড়তদারদের সিন্ডিকেটে সম্ভব হতো না।
আরেক ক্রেতা মো. হাবিব বলেন, আমি একজন দিনমজুর। এখানে প্রতি জিনিসেই ১০-২০ কম। সেটা দিয়ে আমি অন্য আরেকটা কিনতে পারি। এটি যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তবে এর সুফল আমরা সবাই ভোগ করতে পারব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরগুনার ছাত্র মো. রেজাউল ইসলাম জানান, আমাদের বাজার চালুর পর ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। ব্যবসায়ীরাও তাদের পণ্যের দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। আশা করি, বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে মানুষের আশা পূরণ হবে। আমরা সিন্ডিকেট ভাঙা পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের যে মূল্য তা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি কারণে সরকার অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে বাজার মনিটরিং রয়েছে। এর পাশাপাশি বাজারে যাতে একটি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা যায় সে লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা এ বাজার কার্যক্রম শুরু করেছে। কৃষকদের থেকে সরাসরি পণ্য কিনে ন্যায্যমূল্যে বাজারে ক্রেতাদের কাছে বিক্রির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।