পর্যটক যাতায়ত স্বাভাবিক রাখতে কাফন পড়ে সড়ক অবরোধ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনে টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচল, পর্যটক যাতায়াত স্বাভাবিক, চাহিদামতো অবস্থান নিশ্চিত করার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।
এ সময় তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বিক্ষোভ স্থলে এসে মানববন্ধনে অংশ নেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সংগঠন নেতারা। কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ডলফিন মোড়ে বুধবার বেলা ১২টা থেকে সড়ক অবরোধ করে তারা এসব কর্মসূচি পালন করেন। এতে সড়কের দুপাশে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েন পর্যটন জোনে অবস্থান করা পর্যটক এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যবসায়ী এবং অধিবাসীরা।
তবে, এসব বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসকের কক্ষে বৈঠক হয়েছে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শেষ হওয়া বৈঠকে সিদ্ধান্ত মতে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিক্ষোভ স্থলে গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে আজকের মতো বিক্ষোভ স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা, এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজার পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
আন্দোলনের সমন্বয়ক দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসীকে ভাতে মারার ফন্দি আঁটা হচ্ছে। বছরে চার মাস আবহাওয়া শান্ত থাকে আর এ সময় পর্যটক যায় দ্বীপে। বাকি আট মাস সময় পরিবেশ উন্নতকরণে উদ্যোগ নেওয়া যায়। কিন্তু সেটা না করে, দ্বীপের ১৫ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা স্থবির করতেই একপেশে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বীপে পর্যটক যাওয়া সীমিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা আগের মতোই পর্যটক যাতায়ত স্বাভাবিক হওয়া কামনা করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেবে না আমরা ততক্ষণ কক্সবাজার ছাড়ব না।
আন্দোলনে একাÍতা ঘোষণা করে বিক্ষোভে আসা ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (টুয়াক) সভাপতি মো. রেজাউল করিম বলেন, দ্বীপবাসীসহ লাখো মানুষের জীবিকায়নে চলমান একটি কার্যক্রম বিকল্প ব্যবস্থা না করে হঠাৎ হটকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন হয়নি। দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় কি করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বীপবাসী, পর্যটন সংশ্লিষ্ট এবং যাতায়তকারী পর্যটক সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি করা যেত।
পর্যটকবাহী জাহাজ পরিচালনাকারী হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, হঠাৎ সরকারে দ্বীপে পর্যটক সীমিতকরণ ও রাত্রিযাপনে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত সবাইকে বেকায়দায় ফেলেছে। এটা পুনর্বিবেচনার দাবি অবশ্যই যৌক্তিক।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, সেন্টমার্টিনবাসীর দাবির বিষয়টি আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি, সবার জন্য মঙ্গলজনক একটি নির্দেশনা আসবে।