নিক্সন চৌধুরীর নাম ভাঙিয়ে জামায়াত কর্মীর বিক্রিত জমি দখল
কালকিনি-ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর নাম ভাঙিয়ে মাদারীপুরের কালকিনিতে মো. নুরুল হক (৪০) নামে এক জামায়াত কর্মীর বিক্রিত জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে ধান চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই জমি দখল মুক্তের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে এক প্রতিবাদ সভা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কয়ারিয়া এলাকার কয়ারিয়া গ্রামের বাসিন্দা জামায়াত কর্মী মো. নুরুল হক কয়ারিয়া মৌজার ২০ শতাংশ জমি একই এলাকার জিয়াবুল তালুকদারের কাছ থেকে ২০০০ সালে ক্রয় করেন। ক্রয়ের পর থেকেই নুরুল হক ওই জমি ২০ বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছেন। ওই জমি নুরুল হক অর্থাভাবে একই এলাকার শামীমের কাছে বিক্রি করে দেন।
নুরুল হকের ওই বিক্রীত জমি গ্রহীতা শামীমকে ফসল করতে বাধা দিয়ে এবং নিজের জমি দাবি করে জোরপূর্বক দখল করে নেয় একই এলাকার বাসিন্দা ও মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর ডেলমেডের সদস্য আবুল কালাম ওরফে কালু তালুকদারের নেতৃত্বে স্বপন তালুকদার ও গিয়াস উদ্দিন মজুমদারসহ ৭-৮ জন যুবক।
মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর লোক বলে ওই সময় এলাকায় ভয়ভীতি সৃষ্টি করে নুরুল হকের ওই বিক্রীত ফসলি জমি দখল করে নেন আবুল কালাম ওরফে কালু তালুকদার। তখন আবুল কালাম ওরফে কালু তালুকদারের ভয়ে নুরুল হক এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়ে থাকেন। বর্তমানে নুরুল হক এলাকায় ফিরে তার বিক্রীত জমি দখল মুক্ত করার দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেন।
ভুক্তভোগী নুরুল হক বলেন, আমি জামায়াতের কর্মী বলে নিক্সন চৌধুরীর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কালু তালুকদার আমার বিক্রীত জমি দখল করে নেয়। পরে জমি গ্রহীতা শামীম জমি বুঝে না পেয়ে আমাকে চাপ দিতে থাকেন। আমি ওই জমি দখল মুক্তের জন্য বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েও কোনো সঠিক বিচার পাইনি। আমাকে আওয়ামী লীগের আমলে কালু তালুকদার বিভিন্নভাবে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছে। এছাড়া তিনি রুনু বেগমসহ এলাকার আরও মানুষের জমি দখল করেছেন। আমি কালু তালুকদারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
অভিযুক্ত আবলু কালাম ওরফে কালু তালুকদার বলেন, আমি কারো জমি দখল করিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কয়ারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মোল্লা বলেন, নুরুল হকের বিক্রীত জমি জোরপূর্বক দখল করেছে আবুল কালাম ওরফে কালু।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, বিষয়টি দেখব।