আলুর উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
আলুর দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও উচ্চমূল্য নিয়ন্ত্রণে কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) উদ্যোগে লক্ষ্মীপুরে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে কালেক্টরেট ভবনের সামনে লক্ষ্মীপুর-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন শেষে আলুর মূল্য নিয়ন্ত্রণে কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সিসিএস লক্ষ্মীপুর জেলা ইউনিটের সভাপতি আবুল হাসান সোহেল, সদস্য মাহামুদুন্নবী রাসেল, আল আমিন, আবদুল বাতেন, আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
সিসিএস লক্ষ্মীপুর ইউনিটের নেতৃবৃন্দ জানায়, বিগত ১ মাস ধরে অসাধু ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজ কেন্দ্রিক কূটকৌশলের মাধ্যমে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে ফেলেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মজুদদাররা আলু সংগ্রহ করে কোল্ড স্টোরেজে রেখেছেন। ওই সময় তাদের আলুর ক্রয়মূল্য ছিল কেজি প্রতি ১৮ থেকে ২০ টাকা। কোল্ড স্টোরেজে রাখার খরচ ৬০ কেজির বস্তাপ্রতি অঞ্চল ভেদে ১৮০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা।
সিসিএস’র পক্ষ থেকে নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ করে জানা গেছে, দেশে বার্ষিক আলুর চাহিদা প্রায় ৯০ লাখ টন। এবার আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি টনের বেশি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোল্ড স্টোরেজে ৪০ লাখ টনের বেশি আলু মজুদ রয়েছে। এটি বছরের বাকি সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত। কিন্তু মজুদদাররা সরবরাহ হ্রাস করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হিমাগার থেকে বেশি মূল্যে আলু বিক্রয় করছে। কিন্তু ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত পাকা রশিদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করছে না।
সিসিএস লক্ষ্মীপুর জেলা ইউনিটের সভাপতি আবুল হাসার সোহেল বলেন, কতিপয় মজুদদার, বেপারী, ফড়িয়া (অধিকাংশ ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্সবিহীন), সংশ্লিষ্ট কোল্ড স্টোরেজ ম্যানেজার ও মালিক যোগসাজশে অযৌক্তিকভাবে মূল্য বাড়িয়ে আড়তদারদের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণকে জিম্মি করে প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে অবৈধ বিপণন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হিমাগার ম্যানেজার, দলিল ক্রেতা-বিক্রেতা, ফড়িয়া-মধ্যস্বত্তভোগী বেপারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযান জোরদার করতে হবে। আলুর মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।