Logo
Logo
×

সারাদেশ

গাজীপুরে শ্রমিক-এলাকাবাসীর সংঘর্ষে আহত ৫, কারখানায় অগ্নিসংযোগ

Icon

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম

গাজীপুরে শ্রমিক-এলাকাবাসীর সংঘর্ষে আহত ৫, কারখানায় অগ্নিসংযোগ

বেক্সিমকো কারখানা এলাকার কিছু দূরে গাজীপুর মহানগরীর পানিশাইল এলাকায় অপর একটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেছে। এ সময় দুই কারখানার শ্রমিক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ৫জন। 

এ সময় উত্তেজিত শ্রমিকরা জিরানি বাজারের পাশেই অ্যামাজন নীট ওয়্যার নামের একটি কারখানায় আগুন দিয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত দুইদিনের মতো তৃতীয় দিন সোমবারও বেক্সিমকোর শ্রমিকরা সকাল থেকে চক্রবর্তী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের কারণে আশপাশের অন্তত ২০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া গত ১ নভেম্বর থেকে পানিশাইল এলাকার ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। গত রোববার কারখানা খুলে দেওয়া হলেও দুপুরের পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। 

সোমবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে দেখেন ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কারখানার সামনে নোটিশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই নোটিশ দেখে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা। একপর্যায়ে তারা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের জিরানি এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ সড়ক করে। একই সময় একই সড়কের পৃথক স্থানে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরাও অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময় শ্রমিকরা পানিশাইল ও কলতাসুতি এলাকায় ঢুকে পড়ে এলাকার লোকজনদেরও মারধর করে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে। পরে ত্রিমুখী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকোর কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক অ্যামাজন নীট ওয়্যার নামের একটি কারখানায় অগ্নিসংযোগ করে। 

খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, খবর পেয়ে কাশিমপুর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দুপুর দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে কারখানার ফেব্রিকস, তৈরি পোশাকসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি পুড়ে যায়।

এরআগে কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হানিফ বলেন, কারখানার আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিস এক ঘন্টা হয়ে গেলেও সেখানে আসেনি।

এদিকে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের বন্ধ থাকায় বিকল্প হিসেবে যানবাহন আশপাশের আঞ্চলিক সড়ক গুলোতে প্রবেশ করায় ওই সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম