ধান বীজের জাত থেকে বাদ ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম
এএম জুবায়েদ রিপন, কুষ্টিয়া
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ এএম
দেশে বোরো মৌসুমের জনপ্রিয় একটি ধান বীজের জাত থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নাম। ৩ বছর আগে চমক দেখিয়ে নতুন ওই ধানের জাতটি উদ্ভাবন করে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। ২০২১ সালে মুজিববর্ষের উপহার হিসাবে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতটির নামকরণ করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’।
ঢাকঢোল পিটিয়ে সারা দেশে বঙ্গবন্ধু নামের ধান বীজ বিতরণ শুরু করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)।
এবার চলতি বোরো মৌসুমে বীজ বিতরণ করতে সারা দেশে ধান বীজের বরাদ্দ দিয়েছে বিএডিসি। কিন্তু বরাদ্দপত্রসহ কোনো জায়গায় ওই জাতের ধান বীজে নেই বঙ্গবন্ধুর নাম। এমনকি বীজের বস্তা থেকেও বঙ্গবন্ধু নাম বাদ দিয়েছেন দেশের কৃষি সেক্টরের সর্ববৃহৎ এই প্রতিষ্ঠানটি। ৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পেক্ষাপটের কারণে ওই জাতের ধান বীজ থেকে বঙ্গবন্ধু নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ‘ব্রি ধান-১০০’ নামে জাতটি বাজারজাত করছে বিএডিসি।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের মহব্যবস্থাপক (বীজ) আবীর হোসেন বলেন, উদ্ভাবিত জাতের ধানের নামকরণ করেন বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয় ও উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান। বিএডিসি বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্যাকেটিং করে ডিলারদের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে বিতরণের ব্যবস্থা করেন। জাতের নামকরণের ক্ষেত্রে বিএডিসির কোনো ভ‚মিকা নেই।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের চিফ সাইন্টিফিক অফিসার (সিএসও) ড. তাহমিদ হোসেন আনছারি বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’ নামে কোনো ধানের নামকরণের প্রস্তাব করেনি। জিংকসমৃদ্ধ জাতটি ‘ব্রি ধান ১০০’ নামে নামকরণের প্রস্তাব করা হয়েছিল।
কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ অনুবিভাগ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মুজিববর্ষের উপহার হিসাবে নতুন ওই জাতের ধান বীজের নামকরণ করেন ‘বঙ্গবন্ধু ধান ১০০’। এই নামকরণে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কোনো হাত ছিল না বলে জানান এ কর্মকর্তা।