Logo
Logo
×

সারাদেশ

একদিনে একই মাদ্রাসার ৪ শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ

Icon

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পিএম

একদিনে একই মাদ্রাসার ৪ শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার সৈয়দনগর রহমানিয়া হাফিজিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার ৪ জন শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে অভিভাবকদের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বুধবার দুপুর ২টা থেকে তাদের মাদ্রাসায় পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নিখোঁজ শিশুদের পরিবারের লোকজন ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

নিখোঁজ শিশুরা হলো- রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে মো. শাহিদ মিয়া (১২), টেংরা ইউনিয়নের টগরপুর গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে মাহি (১২), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সিরাজনগর গ্রামের মনির মিয়ার ছেলে মো. তুহিন মিয়া (১১), একই গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে মো. এখলাছুর রহমান (১২)।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিশুদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার মাদ্রাসার শিক্ষকরা শিশুদের নিয়ে জোহরের নামাজ পড়তে যান। পরে দুপুর ২টার দিকে খাবারের জন্য উপস্থিতি মিলাতে গেলে ওই চারজনকে পাওয়া যায়নি। শিক্ষকরা ধারণা করছেন, সবাই নামাজে থাকার সময় পেছন থেকে তারা মসজিদ থেকে বেরিয়ে যায়। পরে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় খুঁজে দেখা হয়। তাদের পরিবারকে জানালে তারা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও সন্ধান পাচ্ছেন না। তাদের সন্ধান পেতে এলাকায় মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

সৈয়দনগর রহমানিয়া হাফিজিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার সহ-সভাপতি মো. রিয়াজ মিয়া বলেন, নিখোঁজের খবর জানার পর থেকে এখন পর্যন্ত হুজুররাসহ আমরা আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছি। তাদের সন্ধান পেতে রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হবে। অভিভাবকরা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খুঁজছেন। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

নিখোঁজ শিশুদের সন্ধান পেলে রাজনগর থানার ০১৩২০-১১৯৮৫৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। এদিকে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে গত কয়েক দিনে শিশুদের নিখোঁজ হওয়ার খবরে অজানা আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবকরা। বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া সন্তানদের একা ছাড়তে নিরাপদ বোধ করছেন না তারা।

রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, (তদন্ত) মো. এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে আমরা মাদ্রাসায় গিয়েছি। ওই শিশুরা নামাজের সময় অগোচরে বের হয়ে গেছে বলে জেনেছি। আমরা তাদের খুঁজে পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অভিভাবক ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ খুঁজতে ব্যস্ত থাকায় এখনো সাধারণ ডায়েরি করেননি। সন্ধ্যায় তারা আসবেন বলে জানিয়েছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম