ভৈরবে আ.লীগের ১৮ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় ভৈরব থানায় করা তিন মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে আওয়ামী লীগের ১৮ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর দত্তের আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ভৈরব উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, ৪ আগস্ট বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় কয়েকজন আহত ও বিএনপি কর্মী মামুনের হাতের কব্জি কাটার ঘটনায় ভৈরব থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের হয়।
এসব মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ৩শ নেতাকর্মীকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ১৮ জন স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে সবাইকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
তারা হলেন- শ্রীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাহালুল আলম বাচ্চু, ১০নং পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলুয়ার হোসেন দিলু, ২নং পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়া, রুটি মনির, শাহেদ আলী, মাহাবুবুর রহমান, গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ খান, রইছ উদ্দিন, সালাউদ্দিন নুরি, মুছা মিয়া, আইনুল শাহ, জিল্লু মিয়া, বাবুল মিয়া, মনির হোসেন, শাহিন মিয়া, জাকির ভূইঁয়া, মনির মিয়া ও তোফাজ্জল হোসেন।
ভৈরবের তিনটি মামলার আসামিরা কয়েক মাস ধরে পলাতক আছেন। এর মধ্যে গত এক মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন ২০-২৫ দিন জেল খাটার পর গত সপ্তাহে জামিনও পেয়েছেন।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল বাশার জানান, ভৈরবের তিনটি মামলায় বৃহস্পতিবার ১৮ জন আসামি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন; কিন্তু বিচারক তাদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠান।
অ্যাডভোকেট আবুল বাশার আরও জানান, আসামিদের পক্ষে আমি কাজ করেছি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন কোর্ট ইন্সপেক্টর। তিনি জামিনের বিরোধিতা করেছেন। তাই আদালত জামিন দেননি। আসামিপক্ষ জামিনের ব্যাপারে জজ কোর্টে আপিল করবেন।