Logo
Logo
×

সারাদেশ

মির্জাপুরে ইটভাটা দখল করে নিচ্ছে তিন ফসলি জমি

Icon

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ পিএম

মির্জাপুরে ইটভাটা দখল করে নিচ্ছে তিন ফসলি জমি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ইটভাটা। মির্জাপুরে বর্তমানে ১০৫টি ইটভাটার মধ্যে অবৈধ ইটভাটা ৪৫টি (পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে)। 

পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ (সংশোধিত) ২০১৮ অনুযায়ী আবাসিক, সংরক্ষিত ও বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর ও তিন ফসলি কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। এ আইন লঙ্ঘন করেই চলছে অবৈধ ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম। এগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে গ্রামীণ জনপথেই ইটভাটাগুলো স্থাপিত হচ্ছে। 

আইনে আছে, তিন ফসলি কোনো জমিতে ইটভাটা দেওয়া যাবে না। মির্জাপুরে তিন ফসলি জমিতেই অসংখ্য ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে। এর মূল কারণ  ইটভাটার জমি, ইট তৈরির প্রধান উপাদান মাটি ও কাঠ সহজে পাওয়া যায়। আর পরিবেশ অধিদফতরের অসৎ লোকদের সুদৃষ্টির বদৌলতে ইটভাটার মালিকরা তিন ফসলি জমিতেও ইটভাটা তৈরি করতে পারেন। অবৈধ, অপরিকল্পিত ইটভাটা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়ংকর হুমকি। 

ইটভাটা নির্মাণে সরকারের শর্ত সঠিকভাবে প্রয়োগ হলে, ব্যাঙের ছাতার মতো ইটভাটা তৈরি হতো না। গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ২ কিমির মধ্যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাড়িঘর, থাকলে কোনও ইটভাটা তৈরি করা যাবে না। ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় প্রকৃতিকে ভারসাম্যহীন করে দিচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইটভাটার কালো ধোঁয়া মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। বিভিন্ন জটিল ও মরণব্যাধি রোগের সৃষ্টি করে।

পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক  মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, মির্জাপুরে ১০৫টি ইটভাটা রয়েছে। তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। এসব ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম আরিফুল ইসলাম বলেন, শীঘ্রই তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা চিহ্নিত করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হবে। তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম