ভবদহ এলাকায় চালু হচ্ছে ভাসমান টয়লেট, দেশেও প্রথম
মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
‘ভাসমান টয়লেট’ চালু হচ্ছে জলাবদ্ধ ভবদহ এলাকায়। দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের ভাসমান টয়লেট চালু হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ভাসমান টয়লেটে প্রাকৃতিক কাজ সারতে পেরে ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ ঘুচবে বলেও আশা তাদের।
মনিরামপুরের ইউএনওর পরিকল্পনায় উপজেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কারিগরি সহযোগিতায় এ ভাসমান টয়লেট প্রকল্প চালু হচ্ছে।
জানা যায়, এবার ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে যশোর ও খুলনা জেলার মনিরামপুর, অভয়নগর, কেশবপুর ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলার প্রায় তিনশ গ্রামের প্রায় ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। এতে বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ওই এলাকার মানুষ। বিশুদ্ধ খাবার পানির পাশাপাশি স্যানিটেশনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
বাধ্য হয়ে অনেকেই রাস্তায় টোং ঘর বানিয়ে রাত্রিযাপন করছেন। কিন্তু প্রাকৃতিক কাজ সারতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তায় ছাড়া গ্রামের মধ্যে স্যানিটেশন স্থাপন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী জয়দেব দত্ত জানান, মূলত ঝাপা বাঁওড়ে ভাসমান সেতুর প্রযুক্তি ব্যবহারে এ ভাসমান টয়লেট তৈরি করা হয়েছে। এতে ৫টি প্লাস্টিকের ড্রাম, কাঠ ও লোহার ফ্রেম এবং টিন ব্যবহৃত হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতি ভাসমান টয়লেট তৈরিতে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। ভাসমান টয়লেটের প্রধান সুবিধা এটি পানির উপর সহজেই ভাসতে পারবে। এই টয়লেটে একটি ড্রাম এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে ময়লা পানিতে পড়ে পরিবেশ দূষিত করবে না। ড্রাম ময়লায় ভর্তি হলে সহজেই খুলে ফের স্থাপন করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না জানান, ভবদহ এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে আমি লক্ষ্য করি জলাবদ্ধতার কারণে স্যানিটেশনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ জনপদের মানুষকে। বিশেষ করে মহিলারা এ ভোগান্তির বেশি সম্মুখীন হচ্ছেন। তখনই আমি চিন্তা করি তাদের টয়লেটের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তখন আমার মাথা আসে ঝাপা বাঁওড়ের ভাসমান সেতুর প্রযুক্তির কথা। পরে সেটির কাজে লাগিয়ে সম্পূর্ণ উপজেলা প্রশাসনের নিজ পরিকল্পনায় আমার ভাসমান টয়লেট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।