উত্তরাঞ্চলে ৫ উপদেষ্টার দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ
রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারে উত্তরাঞ্চল থেকে পাঁচজনকে উপদেষ্টা করার দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেছে রংপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। সমন্বয়করা বলেন, রংপুর অঞ্চলে একজনও উপদেষ্টা নেই। আবু সাঈদের জন্মভূমি রংপুরকে চরম অবহেলা করা হচ্ছে।
বুধবার রংপুরের প্রবেশ দ্বার মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য অর্জন মোড়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। এ কারণে ঢাকার সঙ্গে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীসহ মালামাল পরিবহণের সঙ্গে জড়িত ট্রাকচালকরা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কারমাইকেলের কলেজ সংলগ্ন লালবাগের সামনে জড়ো হন। সেখানে যুক্ত হন কারমাইকেল কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা।
সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে মডার্ন মোড়ে যান। এরপর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে অর্জন মোড়ে (মর্ডান মোড়ে) ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বসে পড়েন।
অবরোধ চলাকালে সেখানে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের অন্যতম সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ, আশফাক আহমেদ, নাহিদ হাসান খন্দকার, ইমতিয়াজ আহমেদ, ইয়াসির আরাফাত, কারমাইকেল কলেজছাত্র সাইফুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, অর্ন্তবর্তী সরকার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে বৈষম্য করছে। চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১৩ জন উপদেষ্টা নেওয়া হয়েছে। অথচ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলা থেকে একজনও নেওয়া হয়নি। সরকার এভাবে চললে আঞ্চলিক বৈষম্য আরও বাড়বে।
ইমরান আহমেদ বলেন, রংপুর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সূতিকাগার। আবু সাঈদের রক্তের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শুরু হয়েছিল। ১০ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রংপুরে এসে বলেছিলেন, রংপুর হবে দেশের অন্যতম সেরা জেলা। কিন্তু রংপুর অঞ্চলের জনগণের হয়ে কথা বলার জন্য সরকারে একজনও উপদেষ্টা নেই। আবু সাঈদের জন্মভূমি রংপুরকে চরম অবহেলা করা হচ্ছে।