চাঁদা না দেওয়ায় চোখ বেঁধে শ্রমিক নেতাকে পিটিয়ে জখম
সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট বন্দর থেকে আব্দুল জলিল প্রধান (৫০) নামের এক মোটর শ্রমিক নেতাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে জখম করছে সংঘবদ্ধ দল। চাঁদা দিতে অপারগতায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জলিল প্রধানের অভিযোগ।
এ বিষয়ে বুধবার সাদুল্লাপুর থানায় এজাহার দাখিলের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জলিল ও তার স্বজনরা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ধাপেরহাটের হাসানপাড়ার ফাইভস্টার মোড় নামকস্থানে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
আব্দুল জলিল প্রধান ধাপেরহাট ইউনিয়নের ছাইগাড়ী গোবিন্দপুর গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে ও ধাপেরহাট বন্দরের বাসিন্দা। তিনি ধাপেরহাট পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন শাখার সভাপতি।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জলিল প্রধান তার জমি বিক্রির জন্য গ্রহীতার কাছ থেকে বায়নাবাবদ টাকা গ্রহণ করেন। এরই মধ্যে মওয়াগাড়ী গ্রামের রতন মিয়া ও গোবিন্দপুর গ্রামের সুজন মিয়াসহ ১৫-২০ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল জলিল প্রধানের কাছে চাঁদা দাবি করেন। এই টাকা দিতে অস্বীকার করার একপর্যায়ে মঙ্গলবার দুপুরের ধাপেরহাটের হাসানপাড়ার ফাইভস্টার মোড় নামকস্থানে দলটি জলিলকে আক্রমণ করে। এরপর বেধড়ক মারপিট করে তার কাছে থাকা ৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। তারপর জলিলের চোখ বেঁধে সাদা স্ট্যাম্পে টিপসহি নিয়ে স্থানীয় লালমাটিয়া ব্রিজ এলাকায় তাকে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনার খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল প্রধান বলেন, মওয়াগাড়ী গ্রামের রতন মিয়া ও গোবিন্দপুর গ্রামের সুজন মিয়াসহ আরও কয়েকজন আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। সেই টাকা দিতে না পারায় তারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। এ ব্যাপারে থানায় এজাহার দাখিলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন বলেন, ধাপেরহাটের ওই ঘটনাটি শুনেছি। এ নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।