Logo
Logo
×

সারাদেশ

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা

Icon

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পিএম

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা

প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পারিবারিক কলহের জেরে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করে হত্যার পর মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, মারধর করে হত্যার পর তার মুখে বিষ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে আলমডাঙ্গা কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী ও তার বাবা-মা পলাতক রয়েছেন।

নিহত পলি খাতুন (২৪) উপজেলার হারদি ইউনিয়নের গোপালদিয়াড় গ্রামের ফরিদ আলীর মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী রবিউল ইসলাম একই উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর পশ্চিমপাড়ার গিয়াস উদ্দীনের ছেলে।

এলাকাবাসীরা জানান, গত কয়েক মাস ধরে পারিবারিক কলহের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী পলি খাতুনকে ঘরে আটকে মারধর করে হত্যা করে স্বামী রবিউল ইসলাম। পরে স্ত্রীর লাশ ঘরের মেঝেতে রেখে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে রবিউল চিৎকার করতে থাকেন। পরে তিনি শ্বশুরবাড়িতে জানান, পলি বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। শ্বশুর পরিবারের লোকজন বাড়িতে আসলে তোপের মুখে লাশ ফেলে বাড়ি থেকে রবিউল, তার বাবা গিয়াস উদ্দীন ও মা পারুলা খাতুন পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পলি খাতুনের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। 

এ ঘটনায় পলি খাতুনের বাবা ফরিদ আলী বাদী হয়ে রবিউলের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন।

নিহত পলির বাবা গিয়াস উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, জামাই রবিউল এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া থাকায় প্রতিবাদ করায় মেয়ের ওপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো। মঙ্গলবার আমার মেয়েকে মারধর করায় সে আমার বাড়িতে আসতে চেয়েছিল। পরে তাকে মারধর করে হত্যা করে। 

তিনি আরও বলেন, হত্যা ভিন্ন খাতে নিতে পলির মুখে বিষ দেওয়া হয়। তাদের সংসারে  ৭ মাস বয়সি মেয়ে ও ২ বছরের ছেলে রয়েছে। পলি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলেও জানান তিনি।

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম