Logo
Logo
×

সারাদেশ

কালীগঞ্জে আটকের পর আসামিকে ছেড়ে দিল পুলিশ

Icon

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২২ পিএম

কালীগঞ্জে আটকের পর আসামিকে ছেড়ে দিল পুলিশ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রাজু আহমেদকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা চত্বর থেকে আটক করা হয়। 

রাজু আহমেদ উপজেলার আড়পাড়া এলাকার কওসার মহুরীর ছেলে ও বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার ৭৩নং এজাহারভুক্ত আসামি। 

তবে পুলিশ জানায়, মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম ভুল করে রাজু আহমেদের নাম দিয়েছেন। এজন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে মিছিলসহকারে গিয়ে শহরের থানা রোডের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় পৌর যুবদলের সদস্য সচিব বাদী হয়ে ৯৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। সেই মামলার ৭৩নং এজাহারভুক্ত আসামি রাজু আহমেদ। এ মামলায় আওয়ামী লীগের অনেকে কারাগারে আছেন। 

মঙ্গলবার দুপুরে থানার এসআই চয়নের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। এরপর ২০-২৫ জন যুবক থানায় যান রাজু আহমেদকে ছাড়িয়ে নিতে। পরে পুলিশ তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়। তবে এজাহারভুক্ত আসামি রাজু আহমেদকে বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিএনপি নেতারা। 

মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাজু আহমেদ গত ৫ আগস্টের আগে পৌর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুজ্জামান রাসেলের সঙ্গে যুবলীগের রাজনীতি করতেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমন ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে। বর্তমানে তিনি বিএনপির রাজনীতি করছেন। তিনি বিএনপির দলীয় অফিস পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত। তার নাম জেনে-শুনেই দেওয়া হয়েছে। পুলিশ যা বলছে সেটি বানোয়াট ও মিথ্যা। 

ঝিনাইদহ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে আটকের পর পুলিশ ছেড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। জিআর মামলা রেকর্ড হওয়ার পর এটির বাদী হয়ে যায় রাষ্ট্র আর অভিযোগকারী হয়ে যান সাক্ষীমাত্র। একমাত্র আদালত তাকে জামিনের মাধ্যমে ছাড়তে পারেন। 

কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, মামলার বাদী বলেছেন- রাজু আহমেদের নাম ভুল করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য তাকে ছেড়ে দিয়েছি। কোনো টাকাপয়সার লেনদেন হয়নি। আটকের পর আপনি ছেড়ে দিতে পারেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম