রিমান্ডের আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৯
বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
বরগুনায় রিমান্ডে থাকা আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বরগুনার তালতলী থানার চার পুলিশ সদস্য ও বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ৫ জন স্টাফ আহত হয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার ঘটবাড়ীয়া এলাকার আশ্রাফুর রহমান অন্তু (২০), তালতলীর মো. ছগির মিস্ত্রি (৫০) ও তার স্ত্রী হামিদা বেগম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ অক্টোবর বরগুনার তালতলী থানায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপরাধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা তালতলী বন্দরের জিয়া মঞ্চ ও বিএনপি অফিসে ভাঙচুর করে এবং বাদী জাকির হোসেনের কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে তার অফিসে হামলা চালায়। এছাড়া দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া এবং বিভিন্ন মানুষের ওপর হামলার অভিযোগও আনা হয়। এ মামলায় প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও অন্য কোনো মদদদাতা রয়েছে কিনা তা বের করতে আদালতে আসামিদের রিমান্ড চাইলে অভিযুক্ত সাতজনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
পরে তাদের নিয়ে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গেলে হাসপাতালে থাকা আসামিদের স্বজনরা আসামিদের ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে পুলিশের ৪ সদস্য আহত ও হাসপাতালে কর্মরত ৫ জন স্টাফ আহতের ঘটনা ঘটে। পরে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশ ও সদর থানায় জানালে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে এ ঘটনায় আদালতের রিমান্ড প্রাপ্ত কোনো আসামি ছিনিয়ে নিতে পারেনি হামলাকারীরা।
অভিযুক্ত রিমান্ডের আসামিরা হলেন- মো. মিজানুর রহমান ওরফে টাচ মিজান (৩০), মো. রাকিব (২৫), মো. জাহিদ (২৫), মো. খলিল (৩০), মো. ইমরান হোসেন ওরফে টাচ ইমরান (২২), মো. আরিফুর রহমান (২০) ও মো. ইউসুফ (২৬)।
বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বশির আলম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত পালিয়ে যাওয়া সবাইকে ধরতে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন।