Logo
Logo
×

সারাদেশ

মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণ, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম

মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণ, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

মাদ্রাসায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক তরুণী। চার দিনে খোঁজ না পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তরুণীর মা।

রোববার বরগুনার ভারপ্রাপ্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রনজু আরা সিপু।

জানা যায়, বরগুনা জেলার আমতলী মধ্যে আড়পাঙ্গাশিয়ার গ্রামের মামলার বাদী ওই ট্রাইব্যুনালে রোববার অভিযোগ করেন, তার ১৩ বছরের মেয়ে একটি মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে একই ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রামের মো. সিদ্দিক চৌকিদারের ছেলে মুছা চৌকিদার (২১) উত্ত্যক্ত করে। বাদী জানতে পেরে মুছার বাবার কাছে বিষয়টি  জানান।

এতে মুছা আরও ক্ষিপ্ত হয়। ৭ নভেম্বর সকালে বাদীর মেয়ে মাদ্রাসায় প্রাইভেট জন্য বাসা থেকে যায়। সকাল ৯টায় মাদ্রাসার উদ্দেশে রওনা দিয়ে বায়লাবুনিয়া স্ট্যান্ডের একটু পশ্চিম পাশে পৌঁছলে আসামি মুছা ও তার সহযোগী তোফাজ্জল তালুকদারের ছেলে জুয়েল (২২) ও আবদুল খালেক চৌকিদারের ছেলে মো. ইমরান (২০) পরিকল্পিতভাবে দুটি মোটরসাইকেলে এসে বাদীর মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আবদুর রহমান দেখে বাদীকে বিষয়টি জানান।

বাদী বলেন, আমার মেয়েকে না পেয়ে মুছার বাবা সিদ্দিক চৌকিদারের কাছে যাই। তিনি আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে আমার মেয়েকে না দিয়ে উল্টো আমাকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন। চার দিনেও আমার মেয়ের সন্ধান পাইনি। আমার ধারণা আসামি মুছা আমার মেয়েকে অপহরণ করে কোথাও আটক রেখে ধর্ষণ করেছে। এমনও হতে পারে আসামিরা আমার মেয়েকে মেরে লাশ গোপন করতে পারে। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা জানি না।

আসামি মুছার ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।

আমতলী থানার ওসি মো. আরিফ হোসেন বলেন, আদালতের আদেশ আমরা এখনো পাইনি। আদেশ পেলে আসামিদের গ্রেফতার ও ভিকটিমকে উদ্ধার করার চেষ্টা করব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম