জাহিদ মালেকের ফুফাতো ভাইয়ের বাড়ির কেয়ারটেকারের দাপট কমেনি
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের আপন ফুফাতো ভাই মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার রুবেল মিয়া ওরফে বদুর অত্যাচার ও দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী রুবেলের শাস্তির দাবিতে রোববার মানববন্ধন করেছেন।
রোববার সকালে সদর উপজেলার দিঘী ইউনিয়নের চান্দরা ও স্বল্প হাতকোড়া এলাকাবাসীর আয়োজনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুবেল মিয়া ওরফে বদুর দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি প্রতিবাদে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার দাবিতে এ মানববন্ধন পালন করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এ সময় ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন, শামসুর রহমান, হৃদয় মিয়া, আলী হোসেন ও মলি বেগমসহ চান্দরা ও স্বল্পতা হাতকোড়া শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগে ক্ষমতায় থাকাকালে রুবেল মিয়ার ক্ষমতার জোরে আমাদের পরিবারের ৫২ শতাংশ জমির ওপর দিয়ে যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি ফেলেছে। সেই সময় তাদের বাধা দিলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। সম্প্রতি আমাদের জমির উপর রাস্তার তৈরির জন্য ভেকু দিয়ে রাস্তা তৈরির জন্য মাটি কেটেছে। পরে এলাকার সমন্বয়ে বাধা নেই এবং থানায় লিখিত অভিযোগ করি; কিন্তু তিনি এখন বিএনপির লোকজনের সঙ্গে মিলেমিশে এ ধরনের অপরাধ করে আসছে।
শামসুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের শাসন আমলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুবেল মিয়া ক্ষমতার দাপটের অবৈধভাবে মানুষের জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোসহ চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ পতনের পরও তার ক্ষমতার দাপট কমেনি। তিনি আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অপকর্ম করতেন। আর এখন তিনি বিএনপির লোকজনের সঙ্গে আঁতাত করে এসব অপকর্ম করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার জন্য থানা পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা আরও জানিয়েছেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ছেলে রাহাত মালেকের প্রভাব বিস্তার করে নিরীহ এলাকাবাসীকে হয়রানিও করত।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুবেল মিয়া জানান, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে তাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করেছি। কারণ আমি পেটের জন্য কাজ করে থাকি। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। তবে আমার বাড়িতে যাতায়াতের জন্য খাস জমিতে রাস্তা নির্মাণের জন্য ভেকু নামিয়েছিলাম; কিন্তু মানুষের চাপের মুখে ভেকু উঠিয়ে নিয়ে যাই।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এসএম আমান উল্লাহ জানান, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।