‘অবৈধভাবে খাল ও ঘের দখল জেলা প্রশাসন মুক্ত করবে’
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
যশোরের দুঃখ ভবদহ অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে অভয়নগরের আমডাঙ্গা খাল, সুন্দলী, বিল কপালিয়া ও ভবদহ স্লুইসগেট এলাকা পরিদর্শন ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, যারা অবৈধভাবে খাল ও ঘের দখল করে আছে প্রশাসন সেগুলো মুক্ত করবে।
এসব অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, ভবদহের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তবে বিগত সময়ের মতো পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিভিন্ন সংস্থার মতামতে নয় এবার ভুক্তভোগীদের পরামর্শে নেওয়া এই প্রকল্প অনুযায়ী কাজ হবে।
তিনি বলেন, আমরা সেই পথের চলছি, সেটা জনগণ চায়, ভুক্তভোগীরা চায়। এখানে এসে বুঝেছি এখনকার জনগণের এখন সাহায্যের প্রয়োজন। বিভিন্ন সংস্থা যে ঋণ রয়েছে সেটা শিথিল করা হবে। আমাকে জানতে হবে ভবদহ নিয়ে বিগত সময়ে কত প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ প্রকল্প নেওয়া হলেও কেন এই সমস্যা আবারও ফেরত আসে। আমরা যখন এসব বিষয় বিশ্লেষণ করতে পারবো, তাহলে আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সুবিধা হবে।
বিগত সময়ে ভবদহ এলাকার প্রকল্পে দুর্নীতি প্রসঙ্গে এই উপদেষ্টা বলেন, এর আগে ভবদহ এলাকায় এসেছি। এখানকার মামলা নিয়েও লড়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আগের কাজগুলো নিয়ে ভবদহবাসীর মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ। এখানে কারিগরি সমস্যায় রূপ নিয়েছে। আগের প্রকল্পের মূল্যায়নের সঙ্গে দোষ সাব্যস্ত করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি নতুন প্রকল্প যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে হয় সে কারণে ভুক্তভোগী ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা কমিটি করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে রেজওয়ানা হাসান বলেন, এখানে অবৈধ খাল দখল বা ঘের রয়েছে সেগুলো জেলা প্রশাসন দখলমুক্ত করবে। যারা ঘের দখল করে মাছ চাষ করছে তাদের নীতিমালা মেনেই মাছ চাষ করা হবে। মাছ চাষের জন্য এখানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়, ভোগান্তি বাড়ে তাহলে মানুষের জীবন-জীবিকাকে তো আর জিম্মি করে ঘেরকে রক্ষা করতে পারি না। যারা অবৈধভাবে মাছের ঘের চালাচ্ছেন তাদের জন্য স্পৃষ্ট বার্তা নিয়ে নেন এই অবৈধ ঘের তাদের সরাতে হবে।
এর আগে অভয়নগর উপজেলার আমডাঙা খাল পরিদর্শন করেন সরকারের এই উপদেষ্টা। এসময় তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তাদের কাছ থেকে সমস্যা ও সমাধানের পরামর্শ গ্রহণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা, যশোরে জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।